Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ত্রিপুরার আগরতলায় ১০০ শয্যার ইএসআইসি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব

দেবাঞ্জন দাস, ১৮ জানুয়ারি: ত্রিপুরায় ১০০ শয্যার কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম (ইএসআইসি) হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর নতুন দিল্লিতে থেকে আজ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী…



দেবাঞ্জন দাস, ১৮ জানুয়ারি: ত্রিপুরায় ১০০ শয্যার কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম (ইএসআইসি) হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর নতুন দিল্লিতে থেকে আজ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব।


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি এবং সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী কুমারী প্রতিমা ভৌমিক। পাঁচ একরের বেশি জমি নিয়ে আগরতলায় প্রস্তাবিত ১০০ শয্যার এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে যার পরিচালনার দায়িত্ব সরাসরি থাকবে ইএসআইসি-র হাতে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হবে এবং সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সমস্ত আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জাম-বিশিষ্ট এই হাসপাতালে মডিউলার অপারেশন থিয়েটার ও পরীক্ষাগার থাকবে। এছাড়াও, বহির্বিভাগীয় ও অন্তর্বিভাগীয় পরিষেবাও প্রদান করা হবে। আগরতলা এবং সন্নিহিত এলাকার ৬০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগী এই হাসপাতালের পরিষেবা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।


অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভূপিন্দর যাদব বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী প্রবলভাবে আগ্রহী এবং ইএসআইসি হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দ্রুত উন্নয়নে দায়বদ্ধ এবং এই হাসপাতাল থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে তা কার্যকর রূপ নেবে। শ্রী যাদব আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ই-শ্রম নথিভুক্তিকরণের কাজে একযোগে কাজ করবে।


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বলেন, এই হাসপাতাল থেকে ত্রিপুরার কর্মচারী ও তাঁদের পরিবার উপকৃত হবে। তিনি আরও জানান যে তাঁর সরকার এই হাসপাতালের নির্মাণে পাঁচ একর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী  রামেশ্বর তেলি বলেন, কর্মচারী এবং বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষেরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উপকৃত হচ্ছেন।


অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ  রতন চক্রবর্তী, রাজ্যের মন্ত্রী  ভগবান চন্দ্র দাস, কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরের সচিব আরতি আহুজা, ইএসআইসি-র মহানির্দেশক ডা. রাজেন্দ্র কুমার এবং ত্রিপুরার মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা প্রমুখ।