নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর. : শালবনী ব্লকের মৌপাল প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ১২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদায়।বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বিদ্যাদয়ের বর্ষীয়ান প্রাক্তনী মধুসূদন ব…
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর. : শালবনী ব্লকের মৌপাল প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ১২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদায়।বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বিদ্যাদয়ের বর্ষীয়ান প্রাক্তনী মধুসূদন বিশ্বাস এবং ক্ষুদিরাম বিশ্বাস পতাকা উত্তোলন করেন।এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত সমস্ত প্রাক্তনী সহ বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বিদ্যালয়ের এই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে মৌপাল প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ- এর শিক্ষার্থী সহ প্রাক্তন ছাত্র- ছাত্রী এবং দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা স্থানীয় এলাকা পরিক্রমা করে।
এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শালবনির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রণয় দাস, ভারতের ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমির সদস্য এবং বিদ্যাসাগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ সেন, সদর দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রসেনজিত মন্ডল,বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক অতনু মিত্র,স্টুইগার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনারত মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তনী আলোক মাহাত,মৌপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, উৎসব কমিটির সভাপতি এবং মৌপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শচীন্দ্রকুমার বিশ্বাস, উৎসব কমিটির সম্পাদক সুপচাঁদ হাঁসদা, কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. প্রসূনকুমার পড়িয়া, ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক
ড.অমিতেশ চৌধুরী, প্রাক্তনী ড.প্রলয় বিশ্বাস,কুতুরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাংশু দে প্রমুখ ।
১২৫ টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ড. প্রলয় বিশ্বাসের লেখা, সুর করা ও গাওয়া থিমসঙ প্রকাশিত হয়, প্রকাশ করেন প্রধান অতিথি ড. বিশ্বজিৎ সেন।বিদ্যালয়ের প্রাচীন অবস্থার ক্যানভাস প্রকাশ করা হয়। ক্যানভাসের আবরণ উন্মোচন করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সেক আব্দুল সাদেক।এরপর পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন ড. বিশ্বজিৎ সেন। অনুষ্ঠানে তাঁদের বক্তব্যে মূল্যবান পরামর্শ দেন বিশিষ্ট অতিথিরা। বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরেন ড. সেন। কচিকাঁচাদের জীবনের চলার তৈরি পথ পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রাক্তনীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনন্য পরিবেশ রচনা করে। বিশিষ্ট প্রাক্তনী ও মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষক অকাল প্রয়াত তারা কুমার বিশ্বাসকে স্মরণ করা হয় প্রাক্তনী এবং মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ এর পক্ষ থেকে।
১২৫ বছরের প্রাচীন বিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাস সম্মিলিত গ্রন্থ "ঐতিহ্যের অনুসন্ধান ও শৈশব সন্ধিৎসা" এদিন প্রকাশিত হয়। কচিকাঁচাদের নৃত্যানুষ্ঠান উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মন মুগ্ধ করে। তাছাড়া, সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানে প্রাক্তনী ছাড়াও বিশিষ্ট শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।