দেবাঞ্জন দাস; ৭ ফেব্রুয়ারি: শুরু হতে চলেছে নবম কলকাতা ইন্টারন্যাশন্যাল পোল্ট্রী ফেয়ার । ওয়েষ্টবেঙ্গল পোল্ট্রী ফেডারেশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সহযোগিতায় ২০১২ সাল থেকে কলকাতায় এই আন্তর্জাতিক পোল্ট্রী…
দেবাঞ্জন দাস; ৭ ফেব্রুয়ারি: শুরু হতে চলেছে নবম কলকাতা ইন্টারন্যাশন্যাল পোল্ট্রী ফেয়ার । ওয়েষ্টবেঙ্গল পোল্ট্রী ফেডারেশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সহযোগিতায় ২০১২ সাল থেকে কলকাতায় এই আন্তর্জাতিক পোল্ট্রী মেলাটি শুরু করেছে। গত ২০২১ এবং ২০২২ সালে 'কোভিড ১৯'-এর বিপর্যয় কারণে 'কলকাতা ইন্টারন্যাশন্যাল পোল্ট্রী ফেয়ার'-এর আয়োজন করা যায়নি । কিন্তু পুণরায়, এই বছরে এই মেলাটি আয়োজিত হচ্ছে সায়েন্স সিটির প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে। ‘নবম কলকাতা ইন্টারন্যাশন্যাল পোল্ট্রী ফেয়ার'-টি হচ্ছে আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারী হতে ১১ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
এই মেলার মূল ভাবনা ও লক্ষ্য হলো এই রাজ্যে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে পোল্ট্রী উৎপাদন ও শিল্পের উন্নয়ন। এই আন্তর্জাতিক পোল্ট্রী মেলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা হতে আগত ৪০,০০০ পোল্ট্রী খামারী ও প্রতিনিধি ছাড়াও পোল্ট্রী শিল্পের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা ও বিকাশ বিষয়ে জানার জন্য উপস্থিত হবেন দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও সংলগ্ন দেশগুলি হতে বহু পোল্ট্রী উৎপাদক ও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন । পোল্ট্রী উৎপাদক ও খামারীরা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রখ্যাত পোল্ট্রী ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তিবিদ বক্তা ও পোল্ট্রী উৎপাদকগণ সহ প্রতিবেশী দেশগুলি যেমন, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, নাইজেরিয়া, মায়ানমার প্রভৃতি থেকেও এই মেলায় অংশগ্রহণ করবেন। আয়োজকদের আশা, এই বছর মেলায় ভারত ছাড়াও আরও বেশী সংখ্যক আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী স্টল থাকবে । সব মিলিয়ে ১৫০ টিরও বেশি স্টল থাকবে এই মেলায়।
৯ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ত্রিপুরার একটি বিখ্যাত নৃত্য “হোজাগিরি নৃত্য” ‘রিয়াং ড্যান্স ট্রুপ' দ্বারা পরিবেশিত হবে ।
মেলায় থাকছে আলোচনাচক্র । সারাদিন ব্যাপী ঐ আলোচনাচক্রটি পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে ৮ই ফেব্রুয়ারী। আলোচনাচক্রে পোল্ট্রী উৎপাদন, শিল্প ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়গুলিই আলোচিত হবে। ঐ আলোচনাচক্রে দেশের বিভিন্ন সংস্থার প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখবেন। বিভিন্ন প্রাণী বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কেন্দ্রীয় পশুপালন কমিশনার, ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থার প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞগণ, রাজ্য প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অধিকর্ত্তা এবং বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ ঐ আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণ করবেন। ঐ আলোচনাচক্রে সর্বাধুনিক পোল্ট্রী পরিচালন ব্যবস্থা, জৈব নিরাপত্তা, বর্জ্য পণ্য ব্যবস্থাপণা সহ সকল বিষয়গুলিই আলোচিত হবে।
আমাদের এই মেলায় একটি ‘ষ্টুডেন্ট জোন' থাকবে যেটি মূলত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য। পোল্ট্রী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদগণ এবং রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞানের অধ্যাপকগণ ছাত্রদের পোল্ট্রী সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষিত করবেন, যা ভবিষ্যতে ছাত্র-ছাত্রিদের এই শিল্পের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করতে পারে।
পোল্ট্রী শিল্পে জ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রচারের জন্য, এই বছর, “নোভাকন” সম্মেলন চালু করা হচ্ছে ।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সহ আশেপাশের রাজ্যগুলির পোল্ট্রী অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে আলোচনা করে কিভাবে পোল্ট্রী শিল্পকে আরও লাভজনকভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এইজন্য তারা ইস্টার্ণ ইন্ডিয়া পোল্ট্রী ডেভেলপমেন্ট ফোরাম গঠন করেছি। আয়োজকদের বক্তব্য আমরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পোল্ট্রী সংগঠণগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার এই বিষয় নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি , সহ সভাপতি রাধেশ্যাম রায়।