কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারক রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হলো। পাঁচ কোটি টাকার চাকরি নাম করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যদি ওই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার ক…
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষক দীপক জানা |
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারক রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হলো। পাঁচ কোটি টাকার চাকরি নাম করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যদি ওই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শিক্ষক সহ ওই পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁথি শহরে।
ঘটনার সূত্রপাত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের অর্জুননগরের বাসিন্দা দীপক জানা শিক্ষক। তিনি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। ভগবানপুরের বাসিন্দা হলেও কাঁথিতে রাখাল স্কুলের সংলগ্ন এলাকায় শ্বশুর বাড়ি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। অভিযোগ, ২০১৮ সালের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন দীপক বলে অভিযোগ। শুধু প্রাথমিক স্কুল নয় একাধিক দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
দীপক জানা বলেন " এই সমন্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই অভিযোগ কোন সত্যতা নেই, কোন প্রমাণও নেই। পয়সার কোন লেনদেনের বিষয় নেই৷ তদন্ত করলে এই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হবে। যদি প্রমাণ হয় যা শাস্তি হবে মাথা পেতো নেবো। এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন "।
স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস |
স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস বলেন " শিক্ষক দীপক জানা শ্বশুর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন। ফুড সাপ্লাই অফিসে চাকরি পাওয়ার জন্য জায়গা বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দীপক জানার হাতে তুলে দেই। এনিয়ে থানা, এসডিপিও এ সবাইকে জানিয়েছি। কোন কিছু লাভ হয়নি। আমি শুধু নয়, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছেন। টাকা চাইতে গেলে আমার নামেও আমার বাবার নামে মানহানি মামলা করেন "।
বিচুনিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক ইনচার্জ |
বিচুনিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক ইনচার্জ বলেন " বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখবো। এই প্রথম শুনলাম। অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক স্কুলে আসতো করত শিক্ষক দীপক জানা "।
শিক্ষক দীপক জানা স্ত্রী পুতুল জানা |
শিক্ষক দীপক জানা স্ত্রী পুতুল জানা বলেন " স্কুল থেকে এখনো বাড়ি ফেরেনি। যদি টাকা নিতো আমাদের পরিবারের কি এমন অবস্থা থাকতো। স্বামী চাকরি দেবে কি করে? চাকরি কি পড়ে আছে নাকি? আমার স্বামীকে কয়েকজন মিলে ফাঁসিয়ে দিয়েছে "।