Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মেডিকা এবং আইএসএআর ক্যান্সারজয়ীদের জন্য যৌথভাবে ফার্টিলিটি নিয়ে আশা দেখাল

দেবাঞ্জন দাস; কলকাতা ; ৯ই এপ্রিল: ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকশন (আইএসএআর) বাংলা এবং  মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল যৌথভাবে  আয়োজন করেছিল একটি সেমিনারের অনকোলজি এবং প্রজনন চিকিৎসার সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবাকারী…



দেবাঞ্জন দাস; কলকাতা ; ৯ই এপ্রিল: ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকশন (আইএসএআর) বাংলা এবং  মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল যৌথভাবে  আয়োজন করেছিল একটি সেমিনারের অনকোলজি এবং প্রজনন চিকিৎসার সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবাকারীদের নিয়ে। সেমিনারের প্যানেলে ছিলেন বেশ কিছু খ্যাতনামা ডাক্তার যেমন ডঃ অরুনাভ রায়, গাইনিকলোজি বিভাগের প্রধান এবং মেডিকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ওয়েমেন ক্যান্সার ইনিটিয়েটিভের সাথে যুক্ত, ডঃ সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি, প্রেসিডেন্ট আইএসএআর বাংলা (নির্বাচিত), ডঃ সুদীপ বসু প্রেসিডেন্ট আইএসএআর বাংলা (নির্বাচিত), ডঃ সৌরভ দত্ত, সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং ডিরেক্টর মেডিকা অনকোলজি এবং অয়নাভ দেব গুপ্ত, সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর , মেডিকা হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড। সেমিনারে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা বর্তমানে নতুন উদ্ভাবন এবং প্রভাব নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারেন। 

এই ঘন্টা ব্যাপী সেমিনারে অনকো - ফার্টিলিটি বিষয়ক একাধিক জিনিস নিয়ে আলোচনা হয় যেখানে কারোর ডিম্বাণু / শুক্রাণু ক্যান্সার চিকিৎসার আগে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা কিম্বা ক্যান্সারজয়ীদের ক্ষেত্রে সেক্স হরমোনের মাত্রা নিয়মমাফিক রাখা এবং সামগ্রিক ভাবে অনকো - ফার্টিলিটি নিয়ে গবেষণা এবং তথ্য আদান প্রদানের মত বিষয় উঠে আসে। এছাড়া অন্যান্য উদ্ভাবন এবং ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার দিকটি উঠে আসে। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হল কিভাবে রোগী নির্ভর পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয় যার ফলে রোগীদের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া সম্ভবপর হয়। এই সেমিনারে ক্যান্সার রোগীদের অনকো - ফার্টিলিটি বিষয়ে শিক্ষিত করার গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরা হয় এবং পুরোদস্তুর চিকিৎসার জন্য আরো পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী মানুষের প্রয়োজন সেটি আলোচনা করা হয়।

উপস্থিত সকলকে ডঃ অরুনাভ রায়, বিভাগীয় প্রধান গাইনি অনকোলজি এবং মেডিকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের নামজাদা রোবটিক সার্জেন জানান,"এখনকার দিনে আগের প্রজন্মের চেয়ে বর্তমান প্রজন্মের দম্পতিরা অনেক দেরিতে পরিবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত এক দশকে দেখা গিয়েছে যে চল্লিশ পৌঁছনোর আগেই অনেক মহিলা ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় দেখা গিয়েছে যে ক্যান্সার সেরে যাওয়ার পর অনেক মহিলাই ফার্টিলিটি নির্ভর সুবিধা খুঁজছেন যাতে মা হতে পারেন। অনকো - ফার্টিলিটি তথাকথিত ভাবে নতুন একটি দিক যেখানে অনকোলজি এবং প্রজনন চিকিৎসা উভয়কেই মাথায় রেখে এগোনো, যার ফলে কোন মহিলার ফার্টিলিটি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে তাদের ক্ষেত্রে যেখানে ক্যান্সার সেরে যেতে পারে। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপির নেতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে ফার্টিলিটির উপর। তাই এই কম বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি সংরক্ষণের দিকটি মাথায় রেখে ক্যান্সার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। একথা বলাই বাহুল্য যে রোবটিক সার্জারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফার্টিলিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবং সংরক্ষণের দিকেও। এই পদ্ধতি একটি টেকনিক যেখানে টিস্যুর ক্ষেত্রে কম টেনশন বা কম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা রোগীর সুস্থ অ্যানাটমির জন্য একান্ত আবশ্যক।"




ডঃ অরুনাভ রায়ের সাথে সহমত হয়েই ডঃ সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি, প্রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকশন (আইএসএআর) বলেন,"ফার্টিলিটি সংরক্ষণের মত বিষয় বর্তমানে প্রজনন চিকিৎসায় নতুন একটি দিক যা এখন বিশ্বব্যাপী প্রচলিত হয়েছে। অনকো - ফার্টিলিটি, যেটা নিয়ে ডঃ রাত বলেছেন, সেই সমস্ত ক্যান্সারজয়ীদের কথা বলে যারা ফার্টিলিটি নিয়ে আগ্রহী বা যাদের ফার্টিলিটি সংরক্ষণ প্রয়োজন। এছাড়াও সেই সমস্ত মানুষদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাদের ক্যান্সার নেই, পর বাচ্চা ধারণ করতে চান, তারা গ্যামেট বা গ্যামাজেনিক টিস্যু ব্যবহার করতে চান ভবিষ্যতে। এর ফলে সামনের দিনে প্রজনন চিকিৎসা কেন্দ্রিক ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যোগদানকারী মানুষদের আলোচনা এবং তথ্য আদান প্রদান খুব জরুরী। আমরা খুশি এরকম দরকারি একটু ইস্যু নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পেরেছি। আমরা সামনের দিনে পূর্ব ভারতে সব রোগীদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্রতী।"





এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডঃ সৌরভ দত্ত, সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং ডিরেক্টর মেডিকা অনকোলজি জানান," সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে আমার অনেক সহকর্মী বলবেন যে বিগত দশকগুলোতে ক্যান্সারের চিকিৎসা চলার কারণে অনেকেই মাতৃত্বের স্বাদ পেতে পারেননি। আমরা আশাবাদী যে সামনের দিনে এরকম শিক্ষামূলক প্রয়াসের ফলে আরো বেশি কার্যকরী এবং বাস্তবের সাথে তালে তাল মিলিয়ে আর চিকিৎসা প্রোগ্রাম করা সম্ভব হবে যার ফলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষদের জীবনধারনের মান উন্নতি করা সম্ভব হবে এবং নিজেদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরো সমৃদ্ধশালী হবেন।"





এই সিএমই (CME) সেমিনার নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অয়নাভ দেব গুপ্ত, সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেডিকা হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড বলেন," আমাদের এই সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হল ক্যান্সারজয়ীদের প্রজনন নিয়ে আরো বেশি শিক্ষামূলক এবং রিসার্চ ভিত্তিক ডিসকোর্স তুলে ধরা। আমরা খুবই খুশি যে ক্যান্সারজয়ীদের জন্য আরো উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং প্রজনন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবনা নিয়ে কাজ করতে পারছি। পূর্ব ভারতে মেডিকা হসপিটাল ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা পরিষেবা দিয়ে চলেছে। প্রজননের ক্ষেত্রেও দ্রুত উন্নতি সামনের দিনে ক্যান্সারজয়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা এনে দিতে চলেছে।"