তমলুক: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল মেদিনীপুর জেলায় এসেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তমলুক রাজবাড়ী চত্বরে তিনি সভা করেছিলেন। তমল…
তমলুক: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল মেদিনীপুর জেলায় এসেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তমলুক রাজবাড়ী চত্বরে তিনি সভা করেছিলেন। তমলুকের বিপ্লবী নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীতে পদার্পণের সেই ঐতিহাসিক দিনের এ বছর ৮৫ তম বর্ষ। সেই উপলক্ষে আন্তর্জাতিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী প্রাঙ্গনে ১০ এবং ১১ই এপ্রিল দুদিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সভায় যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল ও বাংলাদেশ সহ পাঁচ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনলাইনে এই আলোচনা সভায় যোগ দেবেন আমেরিকা, জাপান ও ভুটানের প্রতিনিধিরা। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির সদস্য তথা তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী। রাজ পরিবারের সদস্য রাজা সুরেন্দ্র নারায়ণ রায় ও তার পুত্র কর্নেল ধীরেন্দ্র নারায়ণ রায় স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর ময়দানে সভা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী সূত্রের খবর এদিন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর প্রাঙ্গণ থেকে ভারতীয় সংস্কৃতি বিষয়ক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর পরিক্রমা করে। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ী বিষয়ক তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে ভারত ও বাংলাদেশের পটচিত্র এবং তমলুকের প্রদর্শনী হয় বিদেশী প্রতিনিধিরা তমলুকের বর্গভীমা মন্দির তমলুক রামকৃষ্ণ মিশন, তাম্রলিপ্ত মিউজিয়াম, তমলুক পুরসভার অফিস, রূপনারায়ণ নদের তীর পরিদর্শন করার কর্মসূচিতে যোগদান করবেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা। বাংলার সংস্কৃতি, আপ্যায়নে খুশি ভিন দেশের প্রতিনিধিরা।