🌄🌄🌄🌄🌄🌄🌄🌄নববর্ষ পুরাতন বছর হারিয়ে গেছে নব বর্ষ আসার সাথে নতুন খাবার খাচ্ছি মোরা সেই পুরাতন হাতে। নতুন বছর নতুন পুজো নতুন কত হাসিরেস্টুরেন্টে খাচ্ছি নতুন যাহা কালকের বাসি। ক্যালেন্ডার টা নতুন দিনে নব বর্ষ আন…
🌄🌄🌄🌄🌄🌄🌄🌄
নববর্ষ
পুরাতন বছর হারিয়ে গেছে
নব বর্ষ আসার সাথে
নতুন খাবার খাচ্ছি মোরা
সেই পুরাতন হাতে।
নতুন বছর নতুন পুজো
নতুন কত হাসি
রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি নতুন
যাহা কালকের বাসি।
ক্যালেন্ডার টা নতুন দিনে
নব বর্ষ আনে
সেটাই এখন গেছি ভুলে
দেখি না কোন খানে।
টিক টিক টিক ঘড়ি বলে
সব নতুন এর ঘণ্টা
সেটা এখন আর দেখি না
থাকলে হাতে ফোনটা।
রেডিও সে গান বাজতো
নতুন দিনের ভোরে
সেও এখন মুছে গেছে
আর দেখি না ঘরে।
মা বাবা ও পুরাতন তো
হলে বুড়ো বুড়ি
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে
ভাবী আস্ত কুড়ি।
সব নতুন এর হয় না মানে
হয় না পুরাতনের
ভাবী বসে সব কিছু টা
যেমন ভাবা মনের।
দিন টা তো আসবে যাবে
কি আর দোষ তাতে
পেট টা ভরাই ক্ষিদে পেটে
নতুন পান্তা ভাতে।
শ্যামল কুমার।
🌷🌷🌷🌷🌷🥀🥀🥀🌺🌺
একালের চাকরি।
বি এ পাস টা করে বসে
চাকরির নেই দেখা,
কি বা হবে বেকার জীবন
কি বা আছে লেখা।
নেতা ছিল পাশের বাড়ির
সুযোগ করে দিলো,
চিড়িয়া খানায় সাজ ঘরে
চাকরি একটা হলো।
পোশাক পরে বান্দর সাজে
খাঁচার ভিতর থেকে,
করতে হবে নাচানাচি
যেনো লোকে দেখে।
পেট পুরে ভাত পাবো আর
মাইনে মাসের শেষে,
বকশিস টা প্রতি দিন ই
যেমন যেটা আসে।
সকাল বেলায় বান্দর সেজে
খাঁচায় দিলো ভরে,
লম্ফ ঝম্প নাচা নাচিতে
ছিলাম নিজের ঘরে।
পাশের ঘরটা বাঘ মামার
একটু করে তো ভয়,
ঘেরা গুলো নড়বড়ে তাই
কি জানি কি হয়।
লোকের ভীড়ে উতল হয়ে
সবাই করে নাচা
আমি শুধু ভয়ের চোটে
চেপে ধরলাম খাঁচা।
ভেঙে গেলো পাশের বেড়া
বাঘ মামা ঘরে,
লাফ দিয়ে বাঘ মামা
নিলো আমায় ধরে।
মরে গেলাম এই আমি
হায় হায় কি যে করি
বাঘ মামা সামনে এসে
মুখটা দিলো সরি।
বললো আরে ভয় টা কি তোর
ওরে বেটা হনু,
আমি ও তো আগের বছর
এম এ করে ছিনু।
তুই বি এ আমি এম এ
আমরা হলাম পশু
ঘুষ নিয়ে যারা চাকরী দিলো
তারাই এখন যিশু।
শ্যামল কুমার।
👩💻👩💻👩💻👩💻👩💻👩💻👩💻👩💻👩💻
রবি ঠাকুর ছবি হয়ে
দাঁড়িয়ে দেওয়াল পটে
গান্ধীজি টাকায় আঁকা
লাঠি ধরে আজও হাঁটে।
বিবেক মোদের চেতনা হীন
মুখে বিবেকের বাণী।
স্বার্থের টানে হাতে নিয়ে লাঠি
করছি হানাহানি।
সুভাষ চন্দ্র দিল্লি চলো
বলছে আঙ্গুল উঁচিয়ে,
গদির জন্য গালা গালি দিয়ে
মাঠ ভরাচ্ছি চেঁচিয়ে।
বঙ্কিম চন্দ্র রচনাবলী !
ও সব এখন অস্ত
মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে
ফেসবুকে সবাই ব্যস্ত।
শ্যামল কুমার।