বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পড়ুয়া সংখ্যা কম থাকার অজুহাতে ২৭০০ জন উদ্বৃত্ত শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হল শুক্রবার। উল্লেখ্য ফেব্রুয়া…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পড়ুয়া সংখ্যা কম থাকার অজুহাতে ২৭০০ জন উদ্বৃত্ত শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হল শুক্রবার। উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারি মাসে ৮২০৭ টি স্কুল( উচ্চ প্রাথমিক ১৩৬২টি এবং প্রাথমিক ৬৮৪৫টি) বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাজ্যের সর্বস্তরের শিক্ষিত মহলের প্রতিবাদে স্থগিত রাখে। কিন্তু শিক্ষক বদলি ঘুর পথে স্কুল তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কে কার্যকরী করতে চলেছে বলে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মনে করে। পূর্বতন রাজ্য সরকারের প্রাথমিককে ইংরেজি পাশ ফেল বিসর্জনের নীতি এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা আইনের অজুহাতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দেওয়ার নীতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫/৬ ক্লাস আছে অথচ শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষক নেই। কেন্দ্রীয় আইন মেনে৩০:১ অনুপাত অনুযায়ী বেশিরভাগ বিদ্যালয় চলছে ১/২ শিক্ষক দিয়ে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ও প্রাথমিক বিদ্যালয় কোন অশিক্ষক কর্মী নেই। শিক্ষকদের দিয়ে স্কুল খোলা বন্ধ করা, মিড ডে মিল চালানো ,হাজার খাতা এমনকি ভোটের কাজ, জনগণনা ইত্যাদি শিক্ষাদান বহির্ভূত কাজ করানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তমলুকে এক প্রেস বিক্রি তে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা অভিযোগ করে বলেন জনসংখ্যা বাড়লে ও রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুল না বাড়িয়ে শিক্ষকদের বদলির পরিকল্পনা করছে। বিদ্যালয় শিক্ষাদানটাই গৌণ হয়ে গেছে। তিনি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোকে আধুনিক মানে উন্নীত করে অভিভাবকের আস্থা ফেরানোর দাবি করেন।