#গল্প-কল্পেশ দি জোকার#রত্না বাগ ১৩\৬\২০২৩বোম্বেতে আমার ছেলের বন্ধু ছিল নাম কল্পেশ। ছেলেটি গুজরাটি। একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়তো। কিন্তু ছেলেটি খুবই মজাকু ছিল। কৌতুক প্রিয় । ওর বাবা কাপড়ের মিলে কাজ করতো। ও নিত্য নতুন পোশাক পড়ে…
#গল্প-কল্পেশ দি জোকার
#রত্না বাগ
১৩\৬\২০২৩
বোম্বেতে আমার ছেলের বন্ধু ছিল নাম কল্পেশ। ছেলেটি গুজরাটি। একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়তো। কিন্তু ছেলেটি খুবই মজাকু ছিল। কৌতুক প্রিয় । ওর বাবা কাপড়ের মিলে কাজ করতো। ও নিত্য নতুন পোশাক পড়ে বের হতো। তবে ওর যেই সাইজের জামা প্যান্ট লাগতো সেটা না পড়ে সর্বদা এক দুই সাইজ বড় জামা প্যান্ট পড়তো। ওকে দেখতে আজীব লাগতো। ওর বন্ধুরা মুখে হাত চাপা দিয়ে হাসতো।
বলতো কল্পেস তুই এটা কার শার্ট পরেছিস? কেন আমি আমার কাকার শার্ট পড়েছি। সবার হাসি দেখে ও হাসত। কেন পরেছিস? এটাতো অনেক বড়। কল্পশ বলতো আরে বুঝছিস না কেন? এসব শার্ট তো ছিড়ে না। আমি বড় হয়ে ও এই শার্টগুলো পড়তে পারব।। তখন সব বন্ধুরা হো হো করে হাসতো। প্যান্ট যখন পড়তো তখন ওর সাইজ থেকে এক দুই সাইজ বড় পরতো।
কোমর অনেক ঢিলা হত। তাই কোমরে দড়ি দিয়ে প্যান্ট পরতো। ওর মা ওকে কত বোঝাত। বুদ্ধু তোকে একদম funny লাগছে। এই কারণেই তো তোর বন্ধুরা তোকে দেখে হাসে। ও বলতো হাসুক ওরা। আমার কিছু যায় আসে না। এইভাবে ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে হাইস্কুলে পা দিল। সেখানেও একই অবস্থা। সবাই ওকে নিয়ে হাসি তামাশা করে। ওর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
ওর পায়ে ৮ নম্বর জুতো লাগে। কিন্তু ও কিনবে ৯ নম্বর। এক সাইজ বড় জুতো পড়ে স্কুলে আসতো ।যা কিছু ব্যবহার করত সবই বড় সাইজের। ওকে দেখতে একেবারে জোকারের মতো লাগতো। মাথায় একটা বড় লাল রঙের টুপি পড়তো। বড় বড় শার্ট ঢোলা প্যান্ট বড় সাইজের জুতো লাল টুপি ওকে একদম জোকার লাগতো।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে সকলে বলত ওই দেখো কল্পেশ জোকার যাচ্ছে। এভাবে চলতে চলতে একদিন ওর আসল নাম সবাই ভুলে গেল। বন্ধুরা এমন কি পাড়া-প্রতিবেশী এবং ওকে যারা চেনে সকলেই ওকে জোকার বলে ডাকত। এই হলো আমাদের কল্পেশ দি গ্রেট জোকার।