Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নবদ্বীপ ধাম থেকে কোলাঘাটে মহাপ্রভুর পাদুকা, উৎসাহী মানুষের ভিড়।

বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
 নবদ্বীপধামের ধামেশ্বর মন্দির থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত চরণ পাদুকাযুগল কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে আনার পর উৎসাহী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেল কোলাঘাট চত্বরে রবিবার সকালে। মহাপ্রভুর পাদু…



বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট


 নবদ্বীপধামের ধামেশ্বর মন্দির থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত চরণ পাদুকাযুগল কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে আনার পর উৎসাহী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেল কোলাঘাট চত্বরে রবিবার সকালে। মহাপ্রভুর পাদুকা দর্শনের জন্য স্থানীয় এবং দূর দূরান্তের বহু মানুষ সমবেত হন। প্রভুর জীবন ও ভাবাদর্শ নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য ৫৪০ বছর আগে কাটোয়ায় কেশব ভারতীয় কাছে সন্ন্যাস নিয়ে পুরীধামে চলে যান মহাপ্রভু।এক বছরের মাথায় শচীমাতাকে দর্শনের জন্য শ্রী চৈতন্যদেব শান্তিপুরে আসেন। মাকে দর্শনের পরেই শ্রীবাস গঙ্গাধর কে সঙ্গে করে নবদ্বীপে আসেন। বিষ্ণুপ্রিয়া তখন বাড়িতে প্রার্থনা রত। স্ত্রীর মুখদর্শন করতে মানা সন্ন্যাসীদের। উঠানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন মহাপ্রভু। বিষ্ণুপ্রিয়া ঘর থেকে বের হয়ে স্বামীকে প্রণাম করতে যান। মাথা তুলতেই দেখেন সামনে মহাপ্রভু নেই, রেখে গিয়েছেন একজোড়া পাদুকা। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী মায়ের স্বপ্ন দেশ পান জন্মভিটের নিম গাছ থেকে কাঠের বিগ্রহ তৈরি করে তার সঙ্গে হবে পাদুকা যুগলের পূজা। স্বামীর বিরহে কাতর হয়ে পড়েন বিষ্ণুপ্রিয়া। পাদুকা যুগল আঁকড়ে ধরে পুজো করতে থাকেন। সেই থেকেই মহাপ্রভুর পাদুকা পূজা হয়ে আসছে। ১৯৬০ সালের পর ওই পাদুকা দুটিকে একটি রুপোর খাপের মধ্যে রাখা হয়। প্রায় ৫ কেজি রুপো দিয়ে সেটি বাঁধানো। আজও নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়ে আসছে সেগুলি। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থী আসেন ধামেশ্বর মন্দিরে । কোলাঘাট জয় নিতাই আশ্রম এর পক্ষে সম্পাদক কল্যাণ সামন্ত জানান এই অস্থির অশান্ত সময় আমরা চাই সাম্য মৈত্র ঐক্য সম্প্রীতির মূর্ত প্রতীক শ্রীচৈতন্যর বাণী এবং ভাবাদর্শ প্রচার ও প্রসারক হোক।