মুর্শিদাবাদে নমিনেশন করতে গিয়ে খুন প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তমলুকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, মর্নিং শোজ দা ডে। একই দিনে ঘোষণা একইদিনে নোমিনেশন ফাইল শুরু। এত লোক ৪-৫ দিনে নমিনেশন কি করে সম্ভব। এখানে কি পাগলার রা…
মুর্শিদাবাদে নমিনেশন করতে গিয়ে খুন প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তমলুকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, মর্নিং শোজ দা ডে। একই দিনে ঘোষণা একইদিনে নোমিনেশন ফাইল শুরু। এত লোক ৪-৫ দিনে নমিনেশন কি করে সম্ভব। এখানে কি পাগলার রাজত্ব চলছে। ঘোষণার পর থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব কমিশনের আর প্রথম দিনেই খুন? নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুজন চক্রবর্তী।
সুজন চক্রবর্তী আরো বললেন খড়গ্রামে যেভাবে কংগ্রেস কর্মী খুন হল তাতে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের ব্যালটের থেকে বোমাগুলি বন্দুকে আগ্রহ বেশি। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটাকে বারুদের স্তুপে পরিণত করেছে।
মুর্শিদাবাদের রাণীনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী প্রার্থীদের কে নমিনেশন জমা দিতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল এই প্রসঙ্গে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বললেন, রানীনগরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাইরে থেকে লোক এনে নমিনেশন ফাইল করতে বাধা দিয়েছে। প্রথমটা আমাদের কর্মীরা হতচকিত হয়ে পড়লেও পরে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ করেছে এবং তাতে তৃণমূলের লোকেরা পালিয়েছে। রানীনগরের ঘটনা থেকে তৃণমূলের বোঝা উচিত মানুষের মেজাজটা কোথায়। এর থেকে তৃণমূলের শিক্ষা নেয়া উচিত।
নমিনেশনের প্রথম দিনই অনেকে নমিনেশন দিতে পারেননি সেই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বললেন ঘোষণা হলো নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয় অনেক জায়গাতেই প্রার্থীরা ডিসিআর কাটতে পারেনি।মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। তৃণমূল কি এটা জানতো সেই কারণেই কি তারা প্রথম দিন কোন নমিনেশন জমা দিতে আসেনি এবং সেভাবে বাধা দিতে আসেনি। ছয় দিনের মধ্যে একদিন নষ্ট। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ব্যর্থ। তবে তৃণমূল জেনে রাখো এটা ২০১৮ নয় ২০২৩। নমিনেশনে বাধা দিতে এলে রানীনগরের মত পাল্টা পাবে।
আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঘুটিয়ারি শরিফে বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানালেন, তৃণমূল কি পশ্চিমবঙ্গ কে বারুদের স্তুপ বানিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয়েছে আজ আবার ঘুটিয়ারি শরীফে। শাসক দল ভয়ে কাঁপছে ওদের মানুষের কাছে যাওয়ার যোগ্যতা নেই। মানুষ বুঝে গেছে ওরা লুটেরা তোলাবাজের দল।