জটিল অপারেশন করে স্বাভাবিক অবস্থায় রাজমিস্ত্রিকে ফিরিয়ে আনলো তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার মথুরা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি খগেন্দ্রনাথ মাইতি। স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে চারজনের স…
জটিল অপারেশন করে স্বাভাবিক অবস্থায় রাজমিস্ত্রিকে ফিরিয়ে আনলো তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার মথুরা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি খগেন্দ্রনাথ মাইতি। স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে চারজনের সংসার। গত দেড় মাস আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়।
আহত রাজমিস্ত্রিকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে একদিন থাকার পরেই হাসপাতাল ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফিরে আসে খগেন্দ্রনাথ মাইতি। কিন্তু রাজমিস্ত্রি খগেন্দ্রনাথ মাইতি এতটাই গুরুতর আহত হয় যে বাড়িতে আসার বেশ কিছুদিন পরেই চোখ বন্ধ করতে পারছিল না, খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, মুখ খুলতে পারছিল না।।
অসহায় খগেন্দ্রনাথ এর পরিবার তমলুক শহরে এসে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শমীক সাহার সাথে যোগাযোগ করে। চিকিৎসক পরামর্শ দেন তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করার। সেইমতো খগেন্দ্রনাথ কে ভর্তি করা হয় তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। সিটি স্ক্যান করা হয়, দেখা যায় মুখমণ্ডলের হাড় ভেঙে সাত নম্বর নার্ভের উপরে চেপে যায়। এবং কানের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। চিকিৎসক অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় এক ঘন্টা ৪০ মিনিট ধরে অপারেশন চলে। অপারেশনের পরে রোগীকে বেডে তোলা হয়।
কয়েকদিন তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে খগেন্দ্রনাথ মাইতি। চিকিৎসক শমীক সাহা যে অপারেশন করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মল্লিক সহ অন্যান্য সহযোগীদের। মুখমণ্ডলের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যা হয়, রোগীর মুখ বেঁকে যায়, চোখ বন্ধ করতে পারে না, গাল ফোলাতে পারে না, খেতে গেলে গাল থেকে খাওয়ার বেরিয়ে আসে। তার সাথে কানের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। সবগুলোই সারানো সম্ভব হয়েছে। এই ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত সচরাচর হয় না এটা খুবই রেয়ার হয়।