সময় বয়ে চলেহেসে- খেলে - অবহেলেস্মৃতিরা এসে চুমু খায়কবিতার দেয়ালে।
কবিতা-- শুক্লা একাদশীর চাঁদ কানন দাশগুপ্তা সোম
যখন শুক্লা একাদশীর চাঁদ উঠেছিল রাতের আকাশে,চুপি চুপি জোছনা এসেছিল আমার জানালার পাশে।বাগানের কতো ফুল হয়েছিল ব্…
সময় বয়ে চলে
হেসে- খেলে - অবহেলে
স্মৃতিরা এসে চুমু খায়
কবিতার দেয়ালে।
কবিতা-- শুক্লা একাদশীর চাঁদ
কানন দাশগুপ্তা সোম
যখন শুক্লা একাদশীর চাঁদ উঠেছিল রাতের আকাশে,
চুপি চুপি জোছনা এসেছিল আমার জানালার পাশে।
বাগানের কতো ফুল হয়েছিল
ব্যাকুল মাতাল বাতাসে।
কতো গান দুলেছিল মনে
কতো সুর পশেছিল শ্রবনে।
কতো রাগ- অণুরাগ, কতো হাসি কতো কান্না,
হে যৌবন , তুমি অনন্যা ।
যখন যৌবন ছিল উদ্ধত ভয়হীন, করেছি বন্দনা,
যখন চলে যায়, মনে হয় করেছি বঞ্চনা।
জীবন ভালোবাসে যৌবনেরে,
যৌবনের দম্ভের কাছে জরা ভয়ে হাত পাতে চৈত্রের চাঁদের হাটে।
গ্রীষ্মের চাঁপার মোহে, বৃষ্টির বন্যতায়,
রাত্রির অন্ধতায়, রচিত হয়েছে কত কবিতা।
বিদ্রোহী কণ্ঠে, অন্ধ আনন্দে
অস্হির স্মৃতির করেছি স্তব।
কতো প্রেম এসে দুয়ারে দাঁড়িয়ে
ফিরে ফিরে গেছে নিয়ে কত কামনা।
বাঁকা চাঁদ ডুবে যায় মেঘের আড়ালে,
হারানো যৌবন চোখ বুজে একা একা
জোছনাকে খোঁজে ।
যে দিন যায় যাক না, কেন মিছে অনুশোচনা
বসন্ত গত জীবনে ফিরাব তা কেমনে।।