শুক্রবার তথা ১১ আগস্ট ছিল শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদানের দিবস। মৃত্যুবার্ষিকীতে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধা জানালো হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুল।
মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের পাশেই শহিদ ক্ষুদ…
শুক্রবার তথা ১১ আগস্ট ছিল শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদানের দিবস। মৃত্যুবার্ষিকীতে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধা জানালো হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুল।
মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের পাশেই শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান। সেখানে রয়েছে ক্ষুদিরাম বসুর আবক্ষ মূর্তি। মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরাও।
উল্লেখ্য, ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী গ্রামে তাঁর জন্ম— এ অভিমতও রয়েছে।
ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে বোমা ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়, যাঁরা ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা। প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন। দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তাঁর বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়।
ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন। তিনি ছিলেন ভারতের কনিষ্ঠতম বিপ্লবী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার জানান, "বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মতো কালজয়ী মানুষদের আমরা যত তুলে ধরতে পারবো, ততই ছাত্রছাত্রীরা অনুভব করতে পারবে স্বদেশ-চেতনা।"