আজ মঙ্গলবার(৮ আগস্ট,২০২৩) মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে পালিত হল বাইশে শ্রাবণ। এদিন গান আবৃত্তি আলোচনা, চিত্রকলা প্রদশর্নের মাধ্যমে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানালো ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষকশিক্ষিকারাও।
রবীন্…
আজ মঙ্গলবার(৮ আগস্ট,২০২৩) মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে পালিত হল বাইশে শ্রাবণ। এদিন গান আবৃত্তি আলোচনা, চিত্রকলা প্রদশর্নের মাধ্যমে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানালো ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষকশিক্ষিকারাও।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার। প্রতিকৃতিতে পুষ্প প্রদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকশিক্ষিকা।
সূচনা সংগীত পরিবেশন করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী রিয়া পাল। পঞ্চম শ্রেণীর সুব্রত ভুইয়া, মুস্কান খাতুন এবং অষ্টম শ্রেণীর সৃজিতা দাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাণ্ডুলিপির পাশাপাশি কবির আঁকা সাদাকালো ও রঙিন চিত্রকলা তুলে ধরা হয়। এ প্রসঙ্গে 'মালতি পুঁথি'-র পাণ্ডুলিপির কথা উল্লেখ করতেই হয়। ১৯৪৩ সালে দিল্লির লেডি আরউইন স্কুলের তদানীন্তন অধ্যাপিকা মালতী সেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যক্ষ ধীরেন্দ্রমোহন সেনের হাত দিয়ে মালতী পুঁথির পাণ্ডুলিপিটি রবীন্দ্রভবনকে উপহার দেন। এই পুঁথিখানি কবির তৃতীয় খাতা। এই পুঁথির ৫৪ সংখ্যক পৃষ্ঠার 'শৈশবসংগীত' নামে একটি কবিতার শিরোনামের পাশে লেখা আছে —'বোটে লিখিয়াছি—মঙ্গলবার ২৪ আশ্বিন ১৮৭৭'। সম্ভবত এই কবিতাটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বপ্রথম তারিখ-দেওয়া কবিতা। এই সব দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপি ও চিত্রকলা দেখে ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট আপ্লুত হয় এদিন।
এদিন এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে সংরক্ষণের লক্ষ্যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বহস্তে আঁকা চিত্রকলার রঙিন একটি ফোটোকপি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকার হাতে তুলে দেন ইতিহাসের শিক্ষক ভূপেন্দ্রনাথ সিং সর্দার।
সংগীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বনশ্রী পড়িয়া, স্বাতী মন্ডল প্রমুখ। এই ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার জানান, "গতকালই পরীক্ষা শেষ হল। অল্প সময়ের মধ্যেও আজ আমরা সুন্দর অনুষ্ঠান করতে পারলাম। আগামীদিনে এমন নানা অনুষ্ঠান আছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি বেশি অংশ নেবে আশা রাখি।"