নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম... মানবিক মুখ নিয়ে আবারও সমস্যায় থাকা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন মানবদরদী শিক্ষক হেরম্বনাথ চক্রবর্তী।হেরম্বনাথ বাবু পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি মানুষ গড়ার একজন কারিগর । শিক্ষক হিসেবে পাঠদানের…
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম... মানবিক মুখ নিয়ে আবারও সমস্যায় থাকা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন মানবদরদী শিক্ষক হেরম্বনাথ চক্রবর্তী।হেরম্বনাথ বাবু পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি মানুষ গড়ার একজন কারিগর । শিক্ষক হিসেবে পাঠদানের মাধ্যমে তিনি যেমন একাধারে শিক্ষার্থীদের প্রথাগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার শিক্ষা দেন তেমনি জীবন সংগ্রামের আরো অনেক কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথও দেখিয়ে দেন একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে। শুধু পথ দেখিয়েই ক্ষান্ত হন না, একজন সহযোগী হিসেবে নিজের সামর্থ্য মতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।দীর্ঘ সতেরো বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি বহুবার সমস্যায় থাকা ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনো অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তো কখনো আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উচ্চ শিক্ষার পাঠ গ্রহণ বন্ধ হতে বসা শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে। এবারে তিন ডাক্তারি পড়ুয়ার পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষক হেরম্বনাথ চক্রবর্তী।এই তিন ডাক্তারী পড়ুয়ার প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে এককালীন মোট ত্রিশ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দিলেন তিনি। হেরম্ববাবু বর্তমানে বাঁকুড়া জেলার কদমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। হেরম্ববাবু বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর বাসিন্দা প্রভাত দত্ত, গঙ্গাজলঘাটির বাসিন্দা শুভদীপ লায়েক এবং ঝাড়গ্রাম জেলার দহিজুড়ির বাসিন্দা প্রদীপ শীট,এই তিন ডাক্তারী পড়ুয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।এঁরা প্রত্যেকেরই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হয়ে মানব সেবাকার্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার। তাদের সেই স্বপ্নকে সফল করতে সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন হেরম্ববাবু। চিকিৎসক হবার সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষাতে এই তিন মেধাবী শিক্ষার্থী সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রভাত বর্তমানে কোলকাতা আর জি কর মেডিকেল কলেজে, শুভদীপ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এবং প্রদীপ মালদা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পাঠরত। এরা প্রত্যেকেই শ্রমজীবী পরিবারের সদস্য।দারিদ্র্যকে নিত্য সঙ্গী করে জীবন সংগ্রামের কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ এই তিন মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে সফল করার জন্য ইতিমধ্যে বেশকিছু হৃদয়বান মানুষ এবং সংস্থা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
খবর পেয়ে এই শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করেন, উৎসাহিত করেন এবং আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ান মানব দরদী শিক্ষক হেরম্ববাবু। পাশাপাশি আশ্বাস দেন ভবিষ্যতেও সাধ্যমত তাদের পাশে থাকবেন।পাশাপাশি সকলের কাছে এই তিন শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন রেখেছেন। উল্লেখ্য ২০০৬ সাল থেকেই শিক্ষাদানের পাশাপাশি নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত করেছেন হেরম্ব বাবু। উল্লেখ্য শিক্ষকতা জীবনের প্রথম ১৫ বছর ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের নয়াবসান জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন হেরম্ববাবু।