দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যাশক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অসীম। ভাদ্রমাসের এই তিথিতে তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রের রীতি মেনেই কালীপুজো করা হয়ে থাকে। এই অমাবস্যা মেনে চললে জী…
দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যাশক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অসীম। ভাদ্রমাসের এই তিথিতে তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রের রীতি মেনেই কালীপুজো করা হয়ে থাকে। এই অমাবস্যা মেনে চললে জীবনে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। কথিত আছে, কঠিন ও গুপ্ত সাধনার মাধ্যমে কৌশিকী অমাবস্যা পালন করলে সিদ্ধিলাভ ঘটে, আশাতীত সাফল্য লাভ করতে পারেন ভক্তরা। বীরভূমের তারাপীঠের পাশাপাশি কৌশিকী অমাবস্যায় তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি উদযাপন করল তমলুক তারা তঠস্থ সেবা শক্তি। শোভাযাত্রার মাধ্যমে তমলুক শহর পরিক্রমা করে বর্গভীমা মন্দিরে পূজো দিয়ে রূপনারায়ন নদী থেকে ঘটত্তোলন করে বাদ্যযন্ত্র, মহিলা ঢাকি সহকারে এসে তারা মায়ের পূজো শুরু হয়। তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে চারদিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পূজো কমিটি । ষোড়শপ্রচারে ভোগ সহ দশমাবিদ্যা হোম যজ্ঞানুষ্ঠান হয়,প্রায় ২০০ কেজি কাঠ,২১কেজি ঘি সহকারে হোম হয়। সারা রাত্রি তন্ত্র মতে তারা মায়ের পূজা হয়। এবছর এই পুজো দশম বর্ষের পুজো। তমলুক শহরবাসীরা এই কৌশিকী অমাবস্যার সময় তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছাতে না পারলেও মনে যে আক্ষেপ ছিল সেটা তমলুক শহরে এই পুজো কমিটির পুজো হওয়ার ফলে বেশ কিছুটা মিটলো এমনটাই মনে করছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।