বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটপূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে গিরি গোবর্ধন তিথি পালনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার গবাদি পশুকে স্নান করিয়ে নববস্ত্রে পূজা করা হল। গোমাতাকে নানাভাবে সাজিয়ে পুজো দেখতে কোলাঘাটের রাজপথে আশপাশের বেশ কয়টি …
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে গিরি গোবর্ধন তিথি পালনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার গবাদি পশুকে স্নান করিয়ে নববস্ত্রে পূজা করা হল। গোমাতাকে নানাভাবে সাজিয়ে পুজো দেখতে কোলাঘাটের রাজপথে আশপাশের বেশ কয়টি গ্রাম থেকে মানুষজন জড়ো হয়েছিল। সেই সঙ্গে অন্নকূট মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অন্নকুট মানে নানান রকম সবজি তরকারি ভাজি পিঠে পায়েস মিষ্টান্ন ডাল রসা বড়ার মতো ছাপান্ন দফা ভোগ এবং ৩৬ রকম ভাজি ও সবজির স্তরে স্তরে প্রসাদী সাজিয়ে আরো বহু জায়গার মতো আজকের দিনটি তে গিরি গোবর্ধন পুজো আয়োজন। পুরান মতে কৃষ্ণকালে মথুরা ও বৃন্দাবনের ব্রজভূমি ছিল চাষবাস ও গোবলয় এলাকা। গোপালন ও চাষের জন্য বৃষ্টি চাই। ইন্দ্র বৃষ্টির দেবতা। বৃন্দাবন বাসি তখন বৃষ্টির কামনায় ইন্দ্র দেবের পূজা করতেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন সমুদ্রের মাঝেও বৃষ্টি হয়। সেখানে কিন্তু কেউ ইন্দ্র পূজা করে না। আমাদের জীবিকা যে গোপালন গাভীবর্ধনের জন্য আমরা গোবর্ধনের কাছে ঋণী। ইন্দ্রের কাছে নয়। আমরা গোবর্ধন পূজা করি। ইন্দ্র রাজ রাগান্বিত হয়ে প্রবল বর্ষণ শুরু করলেন। ব্রজবাসীদের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ গিরিধারী রূপে কড়ে আঙুলের মাধ্যমে গোবর্ধন পাহাড় কে শূন্যে ধারন করলেন। ব্রজবাসী সেই গোবর্ধন পাহাড়ের নিচে আশ্রয় নিয়ে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন বলে কথিত। ইন্দ্ররাজ লজ্জিত হন পাশাপাশি ব্রজবাসীরা গোবর্ধন পুজোর আয়োজন করে। ব্রজবাসীদের সেই পূজার উপাচার অন্নের পাহাড়ের মত ধারণ করে।অন্নের পাহাড় টি গোবর্ধনকে নিবেদন করা হয়। উপস্থিত সবাই দেখলেন শ্রীকৃষ্ণ অন্নভোজন করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকেই গোবর্ধন পুজো ও অন্নকুট মহোৎসবের সূচনা । প্রথা অনুযায়ী এই মাসেই এই দিনটি বিভিন্ন স্থানে উদযাপন করা হয়। মঙ্গলবার এর ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই কোলাঘাটের উপস্থিত হয়েছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তবৃন্দরা এই অনুষ্ঠানের সাথী হতে। ভক্তবৃন্দের পক্ষ থেকে কল্যাণ সামন্ত জানান নানাবিধ নিয়ম পালনে কঠোর কৃচ্ছসাধন ও ত্যাগের মাধ্যমে দামোদর ব্রত উদযাপন চলছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।