বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকতমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার জমে উঠেছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছে। আশ্বাস ভরসার খামতি লাখছে না দুই দলই। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পানচাষীরা শাসক দলের কর্মী সম…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার জমে উঠেছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছে। আশ্বাস ভরসার খামতি লাখছে না দুই দলই। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পানচাষীরা শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন পান চাষীদের বিষয়ে দিনের পর দিন একটা বাক্য পরিবেশন করছে না। তাদের আরো প্রশ্ন প্রতিবারের ভোটের সময় দেখা যায় আশ্বাসের বাণী, ভোট পেরিয়ে গেলেই যে তিমেরে আমরা আছি সেই তিমিরেই পড়ে থাকতে হয়। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার পানচাষীদের আশ্বাস দিলেন আপনারা বারংবার বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে আপনারা আমাকে পছন্দ করলে বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোকপাত করবেন সংসদে যাতে পান সারা ভারতবর্ষ জুড়ে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। ধানের মত পান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট বাদ দিয়ে বাকি ২৫ টি ব্লকে প্রায় ছয় হাজার ২৫১ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। কিন্তু পানের কোন সরকার নির্ধারিত দাম না থাকায় জেলার পানচাষীরা আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থেকে ময়না তমলুক শহীদ মাতঙ্গিনী নন্দকুমারের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানের চাষ হয়ে থাকে। এই এলাকার পানচাষীদের অভিযোগ সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করেও পানের আর্থিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এই সরকার সঠিকভাবে নজর দেয়নি। তবে মাঝে রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তর পানের গোছা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে যে সংশ্লিষ্ট আইন নিয়ে এসেছিল সে ক্ষেত্রে চাষীদের মনঃপুত্র না হওয়ায় তা কার্যকরী ভূমিকা সঠিকভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়নি। পুনরায় লোকসভা নির্বাচনের মুখে পান চাষীরা সরকার নির্ধারিত দামের বিষয়টি দাবি আকারে রাখেন প্রচারে যাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের কাছে। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক পান চাষী জানালেন ১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর পান চাষীরা অনেক আশা ভরসা করেছিল চাষীদের স্বার্থে এই সরকার কিছু করে দেখাবে কিন্তু সম্পূর্ণটাই আমাদেরকে অন্ধকারে রেখেছে। এমন অভিযোগ নন্দকুমার তমলুক থেকে শুরু করে ময়নার বিস্তীর্ণ এলাকার পান চাষীদের। পান চাষীদের ক্ষোভ এতটাই একশ্রীর অসাধু ব্যবসায়ী পান বাজারে এসে তারাই পানের দাম নির্ধারণ করে কৃষকরা তাদের খপ্পরে পড়েই বাজারে পান বিক্রি করতে বাধ্য হয় ।এই অসাধু ব্যবসায়ী থেকে তারা পরিত্রাণ চান। কারণ বছরের পর বছর যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তা থেকে এবার রেহাই পেতে চান।