বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকজন্ম থেকেই অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া (বামনতা) ব্যাধিতে আক্রান্ত, তমলুকের নিশ্চিন্তবসানের সুচন্দ্রা সামন্ত। হাত পা সহ সারা শরীরের গড়ন ছিল অস্বাভাবিক। হাঁটাচলা, দাঁড়ানো কিছুই করতে পারতনা। নিত্যজীবনে বিভিন্…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
জন্ম থেকেই অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া (বামনতা) ব্যাধিতে আক্রান্ত, তমলুকের নিশ্চিন্তবসানের সুচন্দ্রা সামন্ত। হাত পা সহ সারা শরীরের গড়ন ছিল অস্বাভাবিক। হাঁটাচলা, দাঁড়ানো কিছুই করতে পারতনা। নিত্যজীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে
ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের মধ্য দিয়েই সুচন্দ্রার বেড়ে ওঠা। বাবা মা'র অদম্য লড়াই। ভিনরাজ্যে ধারাবাহিক চিকিৎসা এবং ন' বার গুরুতর অপারেশন হয়। চিকিৎসার উপর নির্ভর করেই সুচন্দ্রার বেঁচে থাকা। এরমধ্যেই কঠিন অধ্যবসায় নিষ্ঠাসহকারে পড়াশোনা করে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারী পড়াশোনার সুযোগ একরকম ছিনিয়ে নেয় বলা যায়। এই মাসেই ১ লা অক্টোবর থেকে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করে জীবন সংগ্রামে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এই সুচন্দ্রাকে দিয়েই মঙ্গল দ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কোলাঘাট নতুন বাজার সংকেত পুজো কমিটি তাদের ৫২ তম বর্ষ
শারদোৎসবের সূচনা করতে চলেছেন ৫ই অক্টোবর শনিবার সকাল দশটায়।আয়োজকদের পক্ষে শুভঙ্কর বোস জানান, এইরকম বিভিন্ন প্রকারে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে সুচন্দ্রার মত অনেকেই স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নিমজ্জিত। তাদের প্রেরণা জোগাতে, উৎসাহ দিতে আমরা সুচন্দ্রাকে এর মাধ্যমে সম্মান জানাতে চাই। এছাড়াও এদিন উদ্বোধনে ছবি আঁকবেন হুইল চেয়ার নির্ভর ছাত্র চিত্রকর বিজয় খাঁড়া।
পথ নিরাপত্তার বার্তা দাতে উপস্থিত থাকবেন পথদুর্ঘটনায় দুই পা হারানো কলেজ ছাত্রী সুনীতা ভার্মা এবং মেঘা ঘোষ।