লেখিকা - মালবিকা মজুমদার 🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️ সবুজ বিপ্লব মালবিকা মজুমদার
যারা শরীর নক্সা খুঁজে চলে মৃত শহরে।বিকারের অক্ষয় দলিলে তৈরি দ্বিতীয় মহেঞ্জোদারো।সেখানে প্রতিরোধের পাহাড় বলে কিছু নেই, কাছিমের ড…
লেখিকা - মালবিকা মজুমদার
সবুজ বিপ্লব
মালবিকা মজুমদার
যারা শরীর নক্সা খুঁজে চলে মৃত শহরে।
বিকারের অক্ষয় দলিলে তৈরি দ্বিতীয় মহেঞ্জোদারো।
সেখানে প্রতিরোধের পাহাড় বলে কিছু নেই,
কাছিমের ডিমে তা দিয়ে হাঙর বানায় সহজেই।
অনেক সময় ধরে পাকানো ফল
খেয়ে চলেছিল মেটামরফসিস জীব।
দুর্যোগের সবুজ চাদর সরিয়ে গোছানো নীল ফর্মায় ফেলতেই বিপর্যয়ের রক্ত নদী পাখনা মেলল।
দুর্যোগের আয়না, দুঃশাসন হাজির, গড় হাজিরের হিসাব মিলিয়ে নিচ্ছে।
বিজয় রথের চাকা হাঁটু ভেঙে ধসে যাচ্ছে কাল চক্রে।
বিপর্যয়ের অন্ধকার ঠেলে বেরিয়ে আসছে নারকীয় দুর্গন্ধ।
খুচরো খল কসাই দাঁড়িপাল্লায় মেপে নেবে গবেষণা পত্রের অর্থ ভার।
ম্যান হলের মুখ খুলে ঢের জঞ্জাল জড়ো হয়েছে ঐতিহ্যের খামে।
এখন, বেসামাল মাঝি নৌকা সামলাতে
সারাদিন হাঁটু জলে সাঁতার কাটছে।
আয়ুর্বেদ সংহিতা খুলে পূর্ব জন্মের জটিল ছায়া তত্ত্বে খর ও দূষণ এর শিকড়বাকড় একটিবার জুড়তে পারলেই......
স্বস্তির শিকারায় আরেক বার সবুজ বিপ্লব করা যাবে।
💐💐💐💐💐💐💐💐💐
জল রঙ
মালবিকা মজুমদার
এখন প্রতিদিনই মন কেমনের
ঝরেপড়া দুঃখ দাগ কাটা ছেঁড়া।
আগামীর রাস্তা মসৃণের জন্য
সব বিভেদ ভুলে দিন রাত্রির পার্থক্য মুছে দিতে,
মোমের আঁচল পেতেছে...
অন্ধকার মুছে হাজার নক্ষত্র জ্বলে উঠছে পিচ গলা রাস্তায়।
কচি কচি মুখের হারানোর কষ্ট,
রাত পোহানো নির্ঘুম চোখের কান্নায় ভোরের বাতাস ভারী করছে।
নাহ্, তোমার মতো করে কেউ উপশম দেখেনি ,
তাই তো তুমি না থেকেও খুব বেশি করে রয়েছো।
সেই কষ্ট মুহুর্তগুলিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে আপামর।
এ যেন অমোঘ দুঃখ টান।
যে মুহুর্ত না এলে থেকে যেতো আত্মবিশ্বাসী একটা সম্পূর্ণ জীবন।
ফেলে আসা অতীত বদলাতে পারলে...
বদলে দিতে ইচ্ছে হয় নৃশংস ইতিহাস।
আদিম বুর্জোয়া দুঃখ দাগ ধুয়ে, ক্যানভাসের রক্তদাগে এঁকে দিতে চাই,
নতুন সম্ভাবনার লাল সূর্য।
জলরঙে যদি আবার আঁকা যেত তোমাকে নিয়ে একটা নতুন জীবন।
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀
নেপথ্যের নাটক,ওয়েব সিরিজ
মালবিকা মজুমদার
আমাদের সকলের রোজনামচা
ঠিকঠাক চলছে?
এখন আর মনে পড়ছে না তো সব সময়!
ক্লান্তির কড়ি তে শর্করা খুঁজতে আবছা হচ্ছে মানবিকতার লড়াই।
তবে কী,
ভুলে গিয়ে পুরনো ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় কেউ?
ওরা ভাবছে,
পেট বড় বালাই ,,
কত দিন শূন্যতা জিইয়ে রাস্তায়
পড়ে থাকবে?
মহানুভব এর মতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।
এমন তো কতই হয়।
তবে কি শুধু মোমবাতি গুলোই জ্বলল?
এই যে এতো এতো আলোর অঙ্গীকার,অন্ধকার মোছার স্বপ্নে রাত রাত জাগলো!
সে সব বন্যায় ভেসে গিয়ে প্রবাস থেকে ফেরার সুখবরে ত্রাণ এর
নকুল দানায় মিষ্টিমুখ করবে কী ?
হাঁটতে হাঁটতে পায়ের ছাল উঠলেও বেয়াল্লিশ মাইল,
সংখ্যা মাত্র হয়ে রইল।।
পেলভিস হাড় বা কলার বোন , চোখের থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত,
দুদিকে ছড়িয়ে যাওয়া অসাড় দুটি পা
বিচারের জন্য চিৎকার করছে না আর।
চিৎকার করতে গেলে মুখ বন্ধ করা হাত গুলো আরো জোর দিয়ে বন্ধ করেছিল মনেহয়।
এবার এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে লাল শালুর জটিলতায় ধুলো জমবে।
পারিপার্শ্বিক চাপে পিঁপড়েরা দু সেমি উঠে আবার এক সেমি নেমে আসবে।
তন্ত্রের প্রতি সিঁড়িতে যে তেলের আড়তদার।
যারা মধ্য দিনের হাতের শক্ত লাঠিটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।
তারা সবাই অবোধ সুবোধ।
ওঁদের আঁচল খালি করা প্রতিটা দিন
বেঁচে থাকার কষ্ট গুলো খুব তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
এখনো চোখের জল শুকিয়ে যায় নি,
ওঁরা দুজনেই রোজ রাত জেগে
স্বাধীনতার অপমৃত্যু তে আৎকে ওঠে।
স্বান্তনার শব্দ খুঁজে পায়না দুজনেই।
নাহ! শুধু তারিখ গুলো বদলে যাচ্ছে না, ঋতু ও বদলে গেল।
ওঁরা হারিয়ে যাওয়া সুখের চাবি খুঁজে বেরায় চোখের জলে।
ওঁরা শুনতে পায়, মাৎস্যন্যায় দখল জমিতে বেগার শ্রমের ফসল ঘরে তুলতে মাঠে মাঠে কাকতাড়ুয়া বসিয়ে স্টিরিও বাঘের গর্জেন।
এখানে পরিস্কার আকাশে দূষণের দলা দলা মেঘ।
চারদিকে নোংরা পচাগলা গনতন্ত্রে ডানা মেলা ভাগাড় বাজার খোলা।
ওঁরা যদি মনুষ্যত্ব'টা বিকিয়ে দর দামে পাকা হবার শিক্ষা দিতে পারতো তাহলে হয়তো এ জীবন টা বেঁচে যেত।
শেষে কি নেপথ্যের নাটকে ওয়েব সিরিজ দেখাবে!
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
আর কবে আর কবে?
মালবিকা মজুমদার
ক্লান্তির ঘুমে হায়না হানা,
চক্রব্যুহ সাজায় কসাই।
ছত্রিশ ঘন্টা অবশ নাইটিঙ্গেল
খাবে ছিঁড়ে সবাই।
আর কবে আর কবে?
পাপের আঁচে ভাঙেনি শিরদাঁড়া
অকুতোভয় লড়াকু মেয়ে ।
স্বপ্ন জ্বলছে লক্ষ চোখে
কান্নায় উঠছে গেয়ে।
আর কবে আর কবে?
সাধুর সাজে রক্তখেকো পিশাচ
লেখে মৃত্যু পরোয়ানা ।
বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে
বলে কিছুই জানেনা।
আর কবে আর কবে?
বোধের ব্যানারে হাজার প্রশ্নচিহ্ন,
লিখছে চিঠি রাজপথ।
গুঁড়ো গুঁড়ো ক্ষোভ বিদ্বেষে
মহামায়ারা নিচ্ছে শপথ।
আর কবে আর কবে?