বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকচোখের জল আর থামছিল না, ১২ দিনের বাচ্চাকে নিয়ে এসে লালন পালন করা, সময় অসময়ে তার সঙ্গে সময় কাটানো করার পর ১২ বছর বয়সী পোষ্যের মৃত্যুতে এক প্রকার বাকরুদ্ধ কোলাঘাট পুরাতন বাজারের এক পরিবারের প্রধ…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
চোখের জল আর থামছিল না, ১২ দিনের বাচ্চাকে নিয়ে এসে লালন পালন করা, সময় অসময়ে তার সঙ্গে সময় কাটানো করার পর ১২ বছর বয়সী পোষ্যের মৃত্যুতে এক প্রকার বাকরুদ্ধ কোলাঘাট পুরাতন বাজারের এক পরিবারের প্রধান শান্তনু গাঙ্গুলী। নাম দেওয়া আদরের রিমি এমনভাবে ছেড়ে যাবে কল্পনা করতেও পারেননি । বাড়িতে আসা মাত্র কথা না বলা ঐ পোষ্যের আকার ইঙ্গি ছিল অন্যরকম কিছু যেন একটা বলতে চাইত। মায়া এমন ভাবে আবদ্ধ করেছিল যা অনেক কিছুই স্মৃতি পটে আসছে বলে জানালেন রবিবার। বারো দিনের বাচ্চা সারমেয়কে বাড়ির একজন সদস্য সম্মানে ও যত্নে মানুষ করেছিলেন। আদরের রিমির মৃত্যুতে শোকে পাথর শান্তনু বাবুর গোটা পরিবার। ব্রাহ্মণ ডেকে আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে পরলৌকিকক্রিয়ার সমস্ত কিছুই এই সারমেয়র জন্য ত্রুটি রাখলেন না । পাড়াপড়শিদের যেমন ভোজনের ব্যবস্থা করে ছিলেন , তেমনি পথ সারমেয়দের ভোজনের ব্যবস্থাও করেছিলেন। রূপনারায়ণ চড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয় রিমির। সারা পরিবার ও পাড়া নিকটাত্মীয় বিয়োগের শোকে কষ্ট পাচ্ছেন। নিজেরা শান্তি পেতে এবং অবলা পশুর প্রতি সম্মান জানাতে পোষ্য রিমির শ্রাদ্ধ কাজ সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে পশু প্রেমিক হিসাবে নজির রাখলেন।