নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর.... রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে মেদিনীপুর শহরের সিপাই বাজারে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের কাছে অবস্থিত প্রায় ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক একসাথে থাকা একটি অশ্বত্থ ও একটি নিম গাছকে কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পূর…
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর....
রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে মেদিনীপুর শহরের সিপাই বাজারে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের কাছে অবস্থিত প্রায় ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক একসাথে থাকা একটি অশ্বত্থ ও একটি নিম গাছকে কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে। বন দফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই খবর বাইরে আসতেই রবিবার থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে শহরবাসীদের একটা বড় অংশ। সোচ্চার হয় পশ্চিম বঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ সহ বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠন গুলো।
প্রতিবাদে সামিল হন এলাকার বাসিন্দার। সোমবার সকালে অভিভাবিকা দীপান্বিতা জানা, সুস্মিতা ডোগরা সহ অন্যরা উদ্যোগী হয় গাছ কাটার বিরুদ্ধে সাক্ষর সংগ্রহ করেন।
পাশাপাশি তাঁদের আহ্বানে 'চিপকো' আন্দোলনের ধাঁচে গাছটিকে জড়িয়ে ধরে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়া রূপকথা ভৌমিক,অস্মিতা ডোগরা, সম্ভবী লাহা সহ অন্যান্য পড়ুয়ারা। দীপান্বিতা জানারা তাঁদের আবেদন পৌঁছে দেন মুখ্যমন্ত্রী,জেলা শাসক, মহকুমা শাসক ,ডিএফও,এস পি সহ অন্যান্যের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন আইনজীবী সর্বেশ্বর নায়েক,কবি অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা অপর্ণীতা ভট্টাচার্য, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, পরিবেশপ্রেমী সুস্মিতা পাইন ব্যানার্জী, ইন্দ্রনীল মাইতি শুভঙ্কর দাস,অধ্যাপিকা সুজয়া সরকার,গৃহবধূ পায়েল পাল প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানা, শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়, শিক্ষক নরসিংহ দাস সহ আরো বহু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গাছ বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে তাঁদের করা পোস্ট গুলো প্রচুর শেয়ার হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পাশাপাশি অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় ডি এম কে চিঠি লেখেন।
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্মারক লিপি দেওয়া হয় বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি অনেক পরিবেশ প্রেমী মানুষ গাছ বাঁচানোর আবেদন জানান পুরপ্রধান সৌমেন খান সহ পুরসভার বিভিন্ন কাউন্সিলের কাছে। পুরপ্রধান গাছটির কাছে উপস্থিত হয়ে জানান গাছটি কাটা হবে না। পাশাপাশি প্রশাসনের অন্যান্য স্তর থেকেও গাছ কাটার বিপক্ষে সোচ্চার হওয়া ব্যক্তিদের আশ্বস্ত করা হয় গাছ না কাটার বিষয়ে। প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে খুশি গোটা শহর বাসী।