অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া: ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহকে স্মরণ করে আজ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সাথে একত্রে পাঁশকুড়া পৌরসভার উদ্যোগে পালিত হলো হুল দিবস। “হুল” মানে শুধু বিদ্রোহ নয়, এটা ছিল সাঁওতালদের বাঁচার লড়াই।এক জনজাতির সংগ্র…
অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া: ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহকে স্মরণ করে আজ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সাথে একত্রে পাঁশকুড়া পৌরসভার উদ্যোগে পালিত হলো হুল দিবস। “হুল” মানে শুধু বিদ্রোহ নয়, এটা ছিল সাঁওতালদের বাঁচার লড়াই।এক জনজাতির সংগ্রাম। ১৮৫৫ সালে ৩০ শে জুন ভাগনাডিহির মাঠে, রাজমহলের জঙ্গলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সাঁওতাল জনজাতির কণ্ঠস্বর। সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব- এই চার জনের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল এক মহাযুদ্ধ, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসন এবং জমিদার প্রভুদের বিরুদ্ধে।ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল হুল বিদ্রোহ। ১০ হাজারেরও বেশি সাঁওতাল মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ন্যায়ের জন্য, সম্মানের জন্য। অনেকেই শহীদ হন। ইতিহাসে রচিত হয় এক অমর অধ্যায় সাঁওতাল হুল বিদ্রোহ।
এই দিনটিকে স্মরণ করে আজ ৩০ শে জুন পাঁশকুড়া পৌরসভার বিদ্যাসাগর উদ্যানে পালিত হলো হুল দিবস। বিদ্যাসাগর উদ্যান তৈরি হওয়ার পর সিধু -কানুর মূর্তি বসানো হয়। এই সময় থেকে প্রতিবছর হুল দিবস পালিত হয়ে আসছে। এদিন পাঁশকুড়া আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সাড়ম্বরে হুল দিবস পালিত হয়। সিধু- কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। ধামসা মাদল বাজিয়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সমস্ত বয়সের মানুষজন মিলেমিশে র্যালি বের করে। এরপর তাদের নিজস্ব অলচিকি ভাষায় বিভিন্ন মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য বিভাগের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী ও পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দলাল মিশ্র সহ বিশিষ্ট জনেরা।