Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

‘পূর্ব মেদিনীপুর মেরিনার্স'- এর একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ

অরুন কুমার সাউ, তমলুক: আনন্দ, নিখিলেশ, অসীম ,মাসুম, সৈয়দ রাবিউল, শুভজিৎ , অরণ্য- এদের প্রত্যেকের ধর্ম ফুটবল। ১৪ থেকে ৫৪ বয়সের মানুষ গুলোর কাছে মোহনবাগান দলের খেলোয়াড়রাই ভগবান। আর ২৯ শে জুলাই ‘মোহনবাগান দিবস' এদের কাছে স্ব…


অরুন কুমার সাউ, তমলুক: আনন্দ, নিখিলেশ, অসীম ,মাসুম, সৈয়দ রাবিউল, শুভজিৎ , অরণ্য- এদের প্রত্যেকের ধর্ম ফুটবল। ১৪ থেকে ৫৪ বয়সের মানুষ গুলোর কাছে মোহনবাগান দলের খেলোয়াড়রাই ভগবান। আর ২৯ শে জুলাই ‘মোহনবাগান দিবস' এদের কাছে স্বাধীনতা দিবস। হলদিয়া, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, নন্দকুমার, তমলুক, ডিমারি, ভোগপুর অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ১৩০জনের এখন পরিচয় তারা ‘পূর্ব মেদিনীপুর মেরিনার্স'।

 মূলত সমাজ মাধ্যমে প্রত্যেকের সঙ্গে পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে একটা পরিবার গড়ে তুলেছে। মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব হিসেবে ২০২৩ সালে গড়ে উঠেছে ‘পূর্ব মেদিনীপুর মেরিনার্স'। মনে প্রাণে প্রত্যেকেই সবুজ মেরুন দলের সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে কারোর সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিবাহ, জন্মদিন হলে উপহার হিসেবে দেয় মোহনবাগান ক্লাবের জার্সি। সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেলের থিম হয় মোহনবাগান দলের প্রতীক পালতোলা নৌকো।কলকাতার মাঠে খেলার দেখার সময় একজন আরেকজনের হাত ধরে  মোহনবাগান দলের জন্য গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে।  খেলা দেখার সময় অন্য দলের সমর্থকদের সাথে সৌজন্য বিনিময় সময় মোহনবাগান দলের জার্সি ও পতাকা বিনিময় করে। ২৯ শে জুলাই ওদের কাছে একটা বিশেষ দিন। এ প্রসঙ্গে ‘পূর্ব মেদিনীপুর মেরিনার্স' এর সদস্য আনন্দ নন্দ বলেন, “বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিন্তু আমাদের মত মোহনবাগান ভক্তদের কাছে ১২ মাসের ১৪ পার্বণ। আর এই পার্বণ টি হল ২৯ শে জুলাই মোহনবাগান দিবস। দিনটার একটা ইতিহাস আছে। ১৯১১ সালে ২৯ শে জুলাই পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান দল। ফলে এই দিনটি গোটা ভারতবর্ষের সাথে আমরাও পালন করব"।


 পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার শান্তিপুরে সাম্প্রতিক মোহনবাগান দলের আই.এস.এল কাপ এবং আই.এস.এল শিল্ড বিজয় উপলক্ষে এক ছাদের তলায়, এক জার্সিতে মিলিত হয়ে সেলিব্রেশন করল।হইহুল্লোড় করে  কাটালো দিনটা, এমনটা নয়। একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করল। যেখানে থাকবে বাৎসরিক একটা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বিষয় হবে ফুটবল ও মোহনবাগান। ‘পূর্ব মেদিনীপুর মেরিনার্স' এর সদস্য নিখিলেশ সামন্ত বলেন “রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণ, জেলার প্রবীণ ও কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা, ছোট ছোট ছেলেদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার জন্য এবং ফুটবল খেলার প্রসার ঘটানোর জন্য স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা, কিছু ক্লাবের মধ্যে ফুটবল ও জার্সি দান, খেলা পাগল মানুষদের কলকাতার মাঠে নিয়ে গিয়ে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা এ ধরনের বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে"।