Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কংসাবতীর জল অতিরিক্ত বিপদ সীমায়, পাঁশকুড়া বাসীর মনে উদ্বেগ

অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া:  কংসাবতী নদীতে বন্যার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত সপ্তাহে কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে নদীতে জল বিপদ সীমা অতিক্রম করে বইছিল। তার উপর ডি.ভি.সি -র অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে কংসাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে কান…

 


অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া:  কংসাবতী নদীতে বন্যার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত সপ্তাহে কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে নদীতে জল বিপদ সীমা অতিক্রম করে বইছিল। তার উপর ডি.ভি.সি -র অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে কংসাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে কানায় কানায় ভরে গিয়েছে।


 জলের চাপে গোবিন্দনগরের নোয়াপাড়া, ডোমঘাট, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জঁদড়ায় ও একাধিক এলাকায় নদীর পাড়ে ছোট বড় গর্ত দেখা যায়।সেচ দপ্তরের কর্মীরা ও এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছেন। বুধবার রাত্রে পাঁশকুড়ার ডোমঘাট এলাকায় একটি ছোট গর্ত দেখা দিলে সেচ দপ্তরে কর্মীরা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তার সামাল দেয়া যায়। ওই সময় পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধক্ষ শেখ জহিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জঁদড়ায় যেখানে আগের বারে বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়েছিল ঠিক তারই পাশে ছোটো ১টি গর্ত পড়ে। দ্রুত গতিতে বাঁধ সারাই এর কাজ হয়,জঁদড়াতে নদীর বাঁধ ভাঙ্গেনি  দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়।প্রতাপপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কংসাবতী নদীর বরাবর তারা নজর দারি রেখেছেন। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ জহিরুল ইসলাম খান নিজে থেকে  প্রতাপপুর দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁশকুড়া ব্লকের গোবিন্দনগরের নোয়াপাড়া গ্রামে কংসাবতী নদীর ফাটল ধরা জায়গায় পৌঁছায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি কোম্পানি। এদিন বিকেলে নদী বাঁধ পরিদর্শনে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি , পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি  সুজিত কুমার রায়, পাঁশকুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান নন্দকুমার মিশ্র সহ জেলার ও ব্লকের বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিক বৃন্দ।



 পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সুজিত কুমার রায় পাঁশকুড়া সেচ দপ্তরে উপস্থিত থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে কেউ গুজব ছড়াবেন না। কোথাও নদীর বাঁধের ওপর জল প্রবাহিত হলে প্রশাসনকে যেনো জানানো হয় ,প্রশাসন সমস্ত দিক থেকে সচেষ্ট আছেন। প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রয়েছে প্রত্যেকটি এলাকাতে।