Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় বর্ষ বই মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর.......'আলোর বেশে বইয়ের দেশে' এই শিরোনামে দ্বিতীয় বর্ষ শিশু-কিশোর বইমেলা আয়োজিত হলো শালবনি ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে। শিশু কিশোররা আজ বই বিমুখ। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাস করে ফেলেছে…

 


নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর.......'আলোর বেশে বইয়ের দেশে' এই শিরোনামে দ্বিতীয় বর্ষ শিশু-কিশোর বইমেলা আয়োজিত হলো শালবনি ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে। শিশু কিশোররা আজ বই বিমুখ। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাস করে ফেলেছে আজকের তরুণ প্রজন্মকে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস্যাপ এ বন্দী। এই সংকট দূরীকরণে এবং প্রযুক্তির এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে বই আমাদের পরম আশ্রয়, বই আমাদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। 

 দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক এবং গবেষক ড. মধুপ দে। উপস্থিত ছিলেন ছড়াপত্র সুসাথী পত্রিকার সম্পাদক প্রদীপ দেব বর্মন এবং চিত্রশিল্পী ও পরিচালক বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। চারাগাছি জল সিঞ্চন এর মাধ্যমেই বইমেলার শুভ সূচনা হয়। উদ্বোধক মধুবাবু বইমেলার গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। বই কিভাবে মানুষের আলোর দিশারী হয়ে উঠতে পারে সেই গল্পও শিক্ষার্থীদের শোনান।


 "উদ্বিগ্ন অভিভাবক অভিভাবিকা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেকই। শিক্ষার্থীদের বইমুখী করতে ধারাবাহিকভাবে গ্রন্থাগারের বই ব্যবহার করে চলেছি আমরা। শুধু পাঠ্য বই নয় পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নানারকম মনীষীদের জীবনী, প্রশ্নোত্তর, রহস্য গল্প, ইতিহাস ও অন্যান্য বই পড়ার আগ্রহ তৈরির কাজ চলছে আমাদের বিদ্যাপীঠে। এই ধারাবাহিক কাজেরই অংশ হলো বার্ষিক বই মেলা।'' জানাচ্ছেন মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. প্রসূনকুমার পড়িয়া।


 শিক্ষার্থীদের সাহিত্য করতে মলাট আঁকো প্রতিযোগিতা হয়। দুটি বিভাগে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে সেরা ১৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।

 কলকাতার মোট আটটি প্রকাশনা সংস্থা এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। সঙ্গে ছড়াপত্র সুসাথী এবং নয়ন পত্রিকা বিদ্যাপীঠের পত্রপত্রিকা এবং বইয়ের স্টলে রাখা হয়। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী রামকৃষ্ণ মিশনের পুস্তকও শিক্ষার্থীরা এই বইমেলা থেকে সংগ্রহ করেছে। 

শুধু বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরাই নয় স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নিকটবর্তী সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে এবং তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ব্লকের সবচেয়ে দূরবর্তী স্কুল কলাইমুড়ি নেতাজি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাড়া করে বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাই স্কুলের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষক সুদীপ খাঁড়া বইমেলা থেকে বিদ্যালয় এর জন্য বই ক্রয় করেন।


 ভারী বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকা সত্ত্বেও দুই দিনের এই বইমেলায় বইপত্র বেশ ভালই কেনাকাটা হয়েছে বলে জানালেন তপতী পাবলিশার্সের পক্ষ থেকে শ্রীকান্ত কুণ্ডু।

 বইমেলা কমিটির পক্ষে শিক্ষক সুজিত কুমার সীট জানান, "এই উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রী মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। তারা যে শুধু বই কিনছে তাই নয়, বই পড়ছেও নিয়মিত। আমরা এই বইমেলা নিয়মিত করতে আগ্রহী। অভিভাবক অভিভাবকদের মধ্যেও আমরা এই আগ্রহ বাড়াতে আগ্রহী।"

 শুধু হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরাই নয় এলাকার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বই কেনার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।