নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর : শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারের পাহাড় প্রমাণ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও তৎপরবর্তী পর্যায়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতির কারণে প্রচন্ড মানসিক চাপের কারণে ডেবরা ব্লকের বৌলাসিনী হাইস্কুলের যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক সুব…
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর : শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারের পাহাড় প্রমাণ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও তৎপরবর্তী পর্যায়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতির কারণে প্রচন্ড মানসিক চাপের কারণে ডেবরা ব্লকের বৌলাসিনী হাইস্কুলের যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক সুবল সরেন মানসিক ভাবে বিধস্ত হয়ে 'ব্রেন স্টোকে' আক্রান্ত হন এবং গত ১৫ ই আগস্ট কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর জন্য সুবল বাবুর পরিবার ও তাঁর সহযোদ্ধারা রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন।এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ রত বেশ কয়েকজন যোগ্য শিক্ষক সহ আট ব্যক্তিকে ডেবরা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পুশিশ আটকদের উপর তীব্র মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে বলে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক গণ সহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তাদের ছাপার অযোগ্য ভাষায় পুলিশ গালাগাল করে বলে অভিযোগ। সুবল বাবুর ঘটনার প্রতিবাদে,যোগ্য চাকুরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের ন্যায় বিচারের দাবিতে,যোগ্য চাকুরি প্রার্থীদের সাথে ন্যায় বিচারের দাবিতে, আন্দোলন রত শিক্ষকদের সাথে পুলিশের বর্বর আচরণের প্রতিবাদে, রাজ্যসরকার ও চাকরি চোরদের দোষীদের শাস্তি দাবিতে, তদন্তে সিবিআই সঠিক ভূমিকা পালনে ব্যার্থতাকে ধিক্কার জানিয়ে মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদী মশাল মিছিল ও পথ অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো মেদিনীপুর"অভয়া মঞ্চ"র উদ্যোগে। মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চক থেকে মিছিল শুরু হয়ে রিং রোড পরিক্রমা করে মিছিল পুনরায় পঞ্চুর চকে শেষ হয়। কেরানী তলায় মিনিট ৫ এর জন্য পথ অবরোধ করা হয়। সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে সুবল বাবুকে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এখানে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন যোগ্য চাকুরি হারা শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল চক্রবর্তী। মিছিল শেষে পঞ্চুর চকে পথসভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী অধিকার রক্ষা মঞ্চের জেলা সম্পাদক অধ্যাপক সুকুমার মুর্মু,যোগ্য চাকুরি হারা শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা প্রমুখ। অভয়া মঞ্চের পক্ষে এদিনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক প্রসেনজিৎ আচার্য, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, শিক্ষিকা মধুমিতা ভূঞ্যা, শিক্ষক জগন্নাথ খান প্রমুখ। এদিনের মিছিলে অভয়া মঞ্চের পাশাপাশি। সন্তান ও পরিবার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন যোগ্য চাকুরিহারা শিক্ষক অধিকার রক্ষা মঞ্চের প্রতিনিধিরা, ছিলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, ছিলেন শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ, এবিপিটিএ, অধ্যাপক সমিতি ও শিক্ষাকর্মী সমিতির প্রতিনিধিরা।