অরুন কুমার সাউ তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুকান্ত জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি গীতাঞ্জলি সাংস্কৃতিক সদনে অনুষ্ঠিত হলো 'শতবর্ষে সুকান্ত সূচনা পর্বের অনুষ্ঠান'। আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, অঙ্কন সহযো…
অরুন কুমার সাউ তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুকান্ত জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি গীতাঞ্জলি সাংস্কৃতিক সদনে অনুষ্ঠিত হলো 'শতবর্ষে সুকান্ত সূচনা পর্বের অনুষ্ঠান'। আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, অঙ্কন সহযোগে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে এদিন শ্রদ্ধা জানানো হয়। কবির জীবনী, সাহিত্য ও সামগ্রিকতার ওপর এদিন একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘নেই অমরত্বের লোভ ' -এ বিষয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট আলোচক ড. বিষ্ণুপদ জানা।
‘বর্তমান সময়ের সুকান্তের কবিতার প্রাসঙ্গিকতা’- এই বিষয়ে আলোচনা করেন লেখক, শিক্ষক ড. বাপ্পাদিত্য মাইতি। এদিন এই অনুষ্ঠানে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মশত বর্ষ স্মরণে ‘ হে মহাজীবন ' নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটি সম্পাদনা করেন সুকান্ত জন্ম শতবর্ষ উদযাপন কমিটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুজাতা বেরা। বইটিতে স্থান পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিশিষ্ট লেখক, প্রাবন্ধিক ও কবিদের লেখা। সমগ্র অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে কিশোর বাহিনীর সূর্যমুখী শাখার সদস্যরা । অনুষ্ঠান চলাকালীন কবি সুকান্তের লাইভ চিত্র আঁকেন চিত্রশিল্পী কুহেলি শিকদার।
অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুকান্ত জন্মশত বর্ষ উদযাপন সভাপতি প্রাণনাথ শেঠ , কমিটির কার্যকরী সভাপতি মহাদেব চক্রবর্তী, কার্যকরী সহ সভাপতি ইন্দ্রনারায়ণ পন্ডা, সম্পাদক সুজাতা বেরা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কবি সাহিত্যিক লেখকেরা।
এদিন কমিটির সম্পাদক সুজাতা বেরা বলেন, আমাদের নতুন সমাজ গড়ার পক্ষে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য যাতে প্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন এবং নতুন করে আমাদের মাঝে তাকে জাগিয়ে তোলা একটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে যায়। সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়েই সারা রাজ্য জুড়েই আজ থেকে সূচনা পর্বে অনুষ্ঠান শুরু হল। আমরাও তাতে সামিল হয়েছি প্রগতিশীল মানসিকতা সম্পন্ন সবাইকে একত্রিত করে। সভাপতি প্রাণনাথ শেঠ বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের বেঁচে থাকাটাকে নিয়ে যখন সংশয় তৈরি হয়েছে এ সময়ে আমরা সুকান্ত ভট্টাচার্যের শতবর্ষ উদযাপনের জন্য উদ্যোগী হয়েছি । প্রতিটা মুহূর্তে বুঝতে পারছি এ সময়টা বড় দুঃসময় এ পৃথিবীতে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখতে হলে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো কবিদের জীবন কথা পর্যালোচনা করা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।