পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার হল একটি বিকাশ গত ব্যাধি, যা শৈশব থেকেই শুরু হয়। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের আক্রান্ত শিশুরা দেখতে অন্যান্য শিশুদের মতই যদিও তাদের শেখার সমস্যা থাকতে পারে তাদের বুদ্ধিমত্তা স্ব…
পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার হল একটি বিকাশ গত ব্যাধি, যা শৈশব থেকেই শুরু হয়। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের আক্রান্ত শিশুরা দেখতে অন্যান্য শিশুদের মতই যদিও তাদের শেখার সমস্যা থাকতে পারে তাদের বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক বা এমনই ঘরের চেয়েও বেশি। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং যোগাযোগ করতে অসুবিধা হয় এমন শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।
তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের আউটডোরে প্রায় ২৭ জন শিশুদের চিকিৎসা করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৫০০ জন শিশুকে স্কেলিং করিয়ে ৫৪ জনকে চিহ্নিত করণ করা গেছে। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ২৮ জন শিশু সহ বাবা মায়েরা তাম্রলিপ্ত গভর্নর মেডিকেল কলেজে এসে চিকিৎসা করায়। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার এই ক্লিনিক খোলা থাকে সেখানে তাদের চিকিৎসা করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার অন্যতম কারণ হলো অল্প বয়সে মহিলাদের বিয়ে হওয়া। যেটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বাধিক।
তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের আউটডোরে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ শর্মিলা মল্লিক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনুপম সিনহা সহ অন্যান্যরা। উদ্দেশ্য এই শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। তার জন্য অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার শিশুদের মা-বাবাদের সচেতন হতে হবে। সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা যায়।