অরুণ কুমার সাউ,কাঁথি: পুজোর আগে উৎসবের আনন্দ প্রান্তিক শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল উই কেয়ার ফাউন্ডেশন।গতানুগতিক বিতরণ অনুষ্ঠানের বাইরে বেরিয়ে, এবার পিছিয়ে পড়া শিশুদের শপিং মলে নিয়ে গিয়ে তাদের নিজের পছন্দের জ…
অরুণ কুমার সাউ,কাঁথি: পুজোর আগে উৎসবের আনন্দ প্রান্তিক শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল উই কেয়ার ফাউন্ডেশন।গতানুগতিক বিতরণ অনুষ্ঠানের বাইরে বেরিয়ে, এবার পিছিয়ে পড়া শিশুদের শপিং মলে নিয়ে গিয়ে তাদের নিজের পছন্দের জামাকাপড় কিনে দিল এই সংস্থা। সাধারণত, আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের মানুষজনই শপিং মলে কেনাকাটা করার সুযোগ পান। সেই আনন্দ থেকেই বঞ্চিত থাকে প্রান্তিক শিশুরা। তাদের জীবনে সেই আকাঙ্ক্ষিত 'অলীক কল্পনা'কে বাস্তবে রূপ দিতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।উই কেয়ার ফাউন্ডেশন তাদের এই পুজোর পোশাক বিতরণ কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করে সম্পন্ন করেছে। কর্মসূচির প্রথম পর্বে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে প্রায় ২০০ জন প্রান্তিক শিশুদের হাতে পুজোর সাজ তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্বেই নেওয়া হয় এই বিশেষ উদ্যোগ। এগরা এবং কাঁথির শপিং মলে নিয়ে যাওয়া হয় পিছিয়ে পড়া শিশুদের। তাদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে, বাচ্চাদের নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে শপিং মলের স্টোর থেকে তাদের পছন্দের পোশাক বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই অভিনব উদ্যোগে প্রায় ৬০ জন শিশু ও তাদের মা-কে পুজোর নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে, যা তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শপিং মলের ঝলমলে পরিবেশে পছন্দের পোশাক বেছে নেওয়ার আনন্দ তাদের কাছে ছিল এক স্মরণীয় মুহূর্ত। সংগঠনের এমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সফল হওয়ায় সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উই কেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি সুভাষ নন্দ, সুদীপ গিরি, মিলন গিরি এবং সম্পাদিকা উজ্জয়িনী ব্যানার্জি এই কর্মসূচিতে সাহায্যকারী সকল শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাদের মতে, সমাজের সব স্তরের মানুষ একসঙ্গে এগিয়ে এলেই এই শিশুরা উৎসবের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।