অরুণ কুমার সাউ, কোলাঘাট: বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোলাঘাটে পালিত হলো বিশ্ব পর্যটন দিবস। ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা একত্রিত হয়ে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর, দু'দিন ধরে কোলাঘাট নতুন বাজার হাটে এই উৎসবের আয়োজন করেন। প্রায় প…
অরুণ কুমার সাউ, কোলাঘাট: বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোলাঘাটে পালিত হলো বিশ্ব পর্যটন দিবস। ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা একত্রিত হয়ে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর, দু'দিন ধরে কোলাঘাট নতুন বাজার হাটে এই উৎসবের আয়োজন করেন। প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাটজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ এই বিশেষ উদ্যোগে অংশ নেন। পর্যটনের গুরুত্বকে তুলে ধরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিল নানা ধরনের আকর্ষণীয় কার্যকলাপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভ্রমণ স্মৃতিচারণ, ভ্রমণের ভালো মন্দ দিক নিয়ে বক্তব্য -আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ভ্রমণপ্রেমীদের সংবর্ধনা প্রদান।
স্থানীয় কয়েকজন উৎসাহী ব্যক্তিত্ব, যেমন বাবুরাম ব্যানার্জি, নানু সরকার, এবং তপন মাইতি, ভ্রমণপিপাসু মানুষদের একত্রিত করে এই সফল উদযাপনের আয়োজন করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী সভার মাধ্যমে দু'দিনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা সুকল্যাণ ব্যানার্জি পর্যটনের সামাজিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, - শান্তি বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় পর্যটন অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সমঝোতা ও বন্ধুত্ব।তিনি আরও বলেন, - যুদ্ধের অনুপস্থিতি শুধু শান্তি নয়; সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অপার।
ব্যক্তিগত জীবনে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, - প্রতিটি জীবনে দুঃখ কষ্ট অভাব অভিযোগ থাকতেই পারে। আমরা যদি সবাই যে যার মতো সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মাঝে মাঝে বেড়াতে বের হই, তাহলে হয়ত আমরা মানসিকভাবে ভালো থাকব। জগৎটাকেও চেনা হবে, জানা হবে।কোলাঘাটের এই নিজস্ব উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে পর্যটন দিবসের ভাবনার প্রতি স্থানীয় মানুষের গভীর আগ্রহকেই প্রকাশ করে।