পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: দুর্গাপূজার সরকারি অনুদান নিয়ে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে-র বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওসহ প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।বৃহস্পতিবার নন্দকুমার বিডিও অফ…
পূর্ব মেদিনীপুর , তমলুক: দুর্গাপূজার সরকারি অনুদান নিয়ে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে-র বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওসহ প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার নন্দকুমার বিডিও অফিস সংলগ্ন একটি হল ঘরে নন্দকুমার থানা এলাকার ৬৬ টি পূজো কমিটিকে সরকারি অনুদান বিলির অনুষ্ঠান হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে কয়েকটি ক্লাবকে বার্তা দিয়ে বলেছেন যে সরকারিভাবে প্রাপ্ত অনুদান পাওয়ার পরেও অনেক পুজোর মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হচ্ছেনা এবং তিনি নিজে তার বিধানসভার অনুদানপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোর মণ্ডপ গুলো ডাইরি নিয়ে ঘুরে দেখবেন। যদি কোনো মণ্ডপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকে তবে আগামী বছরে অনুদান আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে —এসব কথা তিনি বলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলির সরকারি অনুদান দিচ্ছেন — এই টাকা রাজ্যের জনগণের করের টাকা। কিন্তু নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে-র আচরণ দেখে মনে হচ্ছে অনুদানের টাকা যেন তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি।
শুক্রবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদেরও এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার টাকা ধার করছে এবং ক্লাবগুলিকে দিচ্ছে — এটা কারো বাবার টাকা নয়। তিনি আরো বলেন, লোকসভা ভোটে নন্দকুমারে বিজেপির লিড আছে। এবারে ভোটে দাঁড়ালে আমরা ২৫ হাজার ভোটে হারাবো ওকে। উনি নিজেই ওখানে প্রাক্তন হবে।
অন্যদিকে, বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দেওয়ায় অনেকেই আদালতের মাধ্যমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু ক্লাব মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়নি বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি তুলে ধরেনি—“কেন্দ্রের কোন প্রকল্প থাকলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে, অন্য রাজ্যের প্রকল্পে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকে; তাহলে আমাদের রাজ্যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন থাকবে না? এটাই আমি বলতে চেয়েছিলাম।