নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর : মহান শিক্ষক দিবসকে উপলক্ষ্য করে ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আয়োজিত হলো রক্তদান শিবির। এ বছরের আয়োজনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই রক্তদান শিবিরটি এ ব…
নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর : মহান শিক্ষক দিবসকে উপলক্ষ্য করে ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আয়োজিত হলো রক্তদান শিবির। এ বছরের আয়োজনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই রক্তদান শিবিরটি এ বছর তার সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করলো। সমাজের কল্যাণে ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই মহতী উদ্যোগ ইতিমধ্যেই স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এবারের রক্তদান শিবিরে ছিল চোখে পড়ার মতো সাড়া। মোট ৫৪ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১৭ জন মহিলাও ছিলেন। রক্ত সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন ডেবরা ব্লাড ব্যাংক-এর অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুরা ও তাঁদের সহকারীরা।
শিবিরটির উদ্বোধন করেন ধলহারা পাগলিমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিত পাত্র মহাশয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন,
“রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এ ধরনের আয়োজন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে মানবিকতার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মহাশয়গণ, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যবৃন্দ, পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ, এলাকার শিক্ষা বন্ধু এবং অসংখ্য বিশিষ্ট অতিথি। সবার উপস্থিতি ও সহযোগিতায় রক্তদান শিবিরটি ছিল অত্যন্ত সফল।
শুধু রক্তদান নয়, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকেও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। আবৃত্তি, গান ও নৃত্যের মাধ্যমে ছোট্ট ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। পুরো অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপ্তিপদ রানা মহাশয়।
এই মহতী কর্মসূচির মূল দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন বিদ্যালয়ের টিচার-ইন-চার্জ আনন্দ মোহন মন্ডল তিনি জানান,
“বিদ্যালয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই প্রতিবছর এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালন কমিটির সদস্যরা একযোগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আগামী দিনেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
এবারের রক্তদান শিবিরের সাফল্যে আনন্দিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বিদ্যালয়ের এই সামাজিক উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।