Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুকের দুর্গা পুজো কমিটির হাতে রাজ্য সরকারের অনুদানের চেক তুলে দিল প্রশাসন। চেক পেয়ে খুশি ক্লাব কর্তারা

অরুণ কুমার সাউ,তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানা এলাকায় মোট দুর্গাপূজা হবে ১৯৩ টি। যার মধ্যে পারিবারিক পুজো হবে ১৫ টি এবং ক্লাব ও সংগঠনের পুজো রয়েছে ১২৮ টি, যার মধ্যে মহিলা পরিচালিত পুজো রয়েছে ৮টি। তমলুক থানার অন্তর্গত স…


অরুণ কুমার সাউ,তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানা এলাকায় মোট দুর্গাপূজা হবে ১৯৩ টি। যার মধ্যে পারিবারিক পুজো হবে ১৫ টি এবং ক্লাব ও সংগঠনের পুজো রয়েছে ১২৮ টি, যার মধ্যে মহিলা পরিচালিত পুজো রয়েছে ৮টি। তমলুক থানার অন্তর্গত সমস্ত পূজার মধ্যে সরকারি অনুদান পাচ্ছে ১১৯ টি ক্লাব। মঙ্গলবার বিকেলে তমলুকের মহাকুমা শাসক অফিস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হল ঘরে সমন্বয়ে সভার অনুষ্ঠানে ক্লাবগুলি হাতে চেক তুলে দেন তমলুকের মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল এব্রার। এছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ, তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান লীনা মাভৈঃ রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। 

চেক প্রদানের পাশাপাশি উপস্থিত ক্লাবের কর্মকর্তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলী পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। প্রতি প্যান্ডেলে ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকে যে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে তাদের আইডেন্টিটি কার্ড দিতে হবে এবং নাম ফোন নাম্বার পুলিশের কাছে জমা করতে হবে। এছাড়াও ডিজে বাজানো যাবে না। রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের ওপর কোনরকম ওভারেডে গেট করা যাবে না। এছাড়াও মন্ডপে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে সহজে এম্বুলেন্স ও দমকলের কর্মকর্তারা পৌঁছাতে পারেন সেই মত পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে।


তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল এব্রার বলেন, আমরা আজকে ক্লাবদের নিয়ে বৈঠক ও ১১৯ টি ক্লাবকে চেক বিতরণ করলাম। পুজো গাইডলাইন কিছু রয়েছে সেগুলি আমরা পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি। সিসিটিভি ওভারেট গেট স্বেচ্ছাসেবক সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই পুজো সবার ভালো কাটুক পুলিশ প্রশাসন সর্বদা পাশে রয়েছে।

তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, এমন অনেক পুজো আছে দিন দিন যেভাবে সমস্ত কিছুর মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে সেই পুজো গুলো বন্ধের পথে বসেছিল, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই এক লক্ষ দশ হাজার টাকা দেওয়ার ফলে সেই সমস্ত পুজোগুলি আবার নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। আমার বিধানসভা এলাকার ১১৯ টি পূজো কমিটির উদ্যোক্তারা এসেছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ কতটা খুশি। এই ক্লাবগুলোর মধ্যে অনেকে সদস্য আছে যারা বিজেপি করে ফলে আমাদের নেত্রী কিন্তু দল মত নির্বিশেষে এই সাহায্য করেছেন এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকেরই রোজকার।।


এক মহিলা সদস্যা মিঠু সামন্ত বলেন,আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একদিকে আমাদের লক্ষীর ভান্ডার দিচ্ছেন অপরদিকে আবার এই পুজোর জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আমাদের অনুষ্ঠান আগে তুলনায় অনেক বেড়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে আমরা মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।