নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর : শালবনী ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ এর পরিধি তিন একরের কিছু বেশি। সবুজের বিপুল সমারোহ এই বিদ্যাপীঠে। সেগুন, চন্দন, পলাশ, নিম, বকুল প্রভৃতি বৃক্ষর পাশাপাশি লতা গুল্ম এবং ছোট ছোট গাছও এখানে আ…
নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর : শালবনী ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ এর পরিধি তিন একরের কিছু বেশি। সবুজের বিপুল সমারোহ এই বিদ্যাপীঠে। সেগুন, চন্দন, পলাশ, নিম, বকুল প্রভৃতি বৃক্ষর পাশাপাশি লতা গুল্ম এবং ছোট ছোট গাছও এখানে আছে।
আছে ফলের বাগান, ফুলের বাগান, ভেষজ বাগানও যেটি প্রজাপতি সংরক্ষণ স্থল হিসেবে রাজ্য সরকারের বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত।
ফলের বাগানে আম,কাঁঠাল, পেয়ারা যেমন আছে তার পাশাপাশি আপেল, আঙুর, বেদানা, কমলালেবুর মত ফল গাছও আছে ছাত্র-ছাত্রীদের চেনানোর জন্য।
তুলসী, নিম, পুদিনা, আয়াপান, থানকুনি, ধুতুরা, ব্রাহ্মী, বেল, দারুচিনি, লবঙ্গ, রঙ্গন ইত্যাদি গাছের পাশাপাশি হরিতকি, আমলকি, বহেড়া, চন্দনের মত গাছও বাগানে আছে।
কেতকি, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া, হোয়ারিস্টক, টোরেনিয়া, স্যাপড্রাগন, পেঞ্জি, গেজিনিয়া, ডায়ান্থাস, পিটুনিয়া প্রভৃতি ঋতুকালীন ফুলও বিদ্যাপীঠের বাগানে প্রতিবছর হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একসময় বনদপ্তরের স্কুল নার্সারি যোজনা(SNY) এই বিদ্যাপীঠে ছিল, যেখানে বনদপ্তরের নির্দেশিত ১৫-২০টি প্রজাতির চারা উৎপাদিত এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় এক হাজার চারা গাছ বিতরিত হয়েছিল। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃক্ষরোপণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিবছর অরণ্য সপ্তাহে এবং বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতীয় সেবা প্রকল্প এবং জাতীয় সমর শিক্ষা বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি এবং আলোচনা সভা পালিত হয়।
সৌন্দর্যায়নের জন্য প্রচুর ছোট ছোট গাছপালা এবং টবে বৈচিত্রপূর্ণ চারা এখানে আছে।
ঋতুকালীন সবজি চাষেও এই বিদ্যাপীঠ অনন্য নজির স্থাপন করেছে। কুমড়ো, বেগুন, পেঁপে, কুঁদরী ইত্যাদি যেমন সারা বছর ধরে চাষ হয়, শীতকালীন সবজির চাষও বেশ কিছুদিন ধরে হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড.প্রসূন কুমার পড়িয়া জানান,সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় তাঁরা এই কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।


