Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিশ্বশান্তির বার্তা ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে রাজ ময়দানে শুরু ২৭তম তাম্রলিপ্ত জনস্বাস্থ্য কৃষি ও কুটির শিল্প মেলা

তমলুক , কাজল মাইতি, দেশ মানুষ : ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে ফের একবার সেজে উঠেছে মেদিনীপুরের প্রাচীন জনপদ তাম্রলিপ্ত। বিশ্বশান্তির সঙ্কল্প নিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয়ে গেল ২৭তম ‘তাম্রলিপ…


তমলুক , কাজল মাইতি, দেশ মানুষ : ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে ফের একবার সেজে উঠেছে মেদিনীপুরের প্রাচীন জনপদ তাম্রলিপ্ত। বিশ্বশান্তির সঙ্কল্প নিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয়ে গেল ২৭তম ‘তাম্রলিপ্ত জনস্বাস্থ্য কৃষি ও কুটির শিল্প মেলা’। তমলুকের রাজবাড়ির স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক রাজ ময়দানে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজিত কুমার নায়েক।

মেলার অন্যতম আয়োজক তথা রাজ পরিবারের সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়ের নেতৃত্বে এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতা চিত্ত মাইতি, লীনা মাভৈ রায়, দেবশ্রী মাইতি, তৃপ্তি ভট্টাচার্য, আনোয়ারা বেগম, সুব্রত রায় এবং অলক সাঁতরা। এ ছাড়াও তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা এ দিন উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সার্থক করে তোলেন।

আলোচনার কেন্দ্রে বৌদ্ধ ধর্ম ও প্রাচীন ইতিহাস

মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু বিকিকিনি বা আমোদ-প্রমোদ নয়, এই মেলার মূল আকর্ষণ হতে চলেছে জ্ঞানচর্চা। আগামী ২৬, ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর— এই তিন দিন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়িতে আয়োজিত হবে বিশেষ আলোচনা সভা। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু— ‘তাম্রলিপ্ত ও বৌদ্ধ ধর্ম’ এবং ‘প্রাচীন তাম্রলিপ্তের সাথে বিশ্বের সম্পর্ক’। ইতিহাসের পাতায় তমলুক তথা তাম্রলিপ্তের যে স্বর্ণযুগ রয়েছে, সেই স্মৃতিই বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এই সভার লক্ষ্য।


এ দিকে মেলা শুরু হতেই শীতের সন্ধ্যায় রাজ ময়দানে উপচে পড়ছে ভিড়। হরেক রকমের কুটির শিল্প, কৃষিজ পণ্য এবং খাবারের স্টলে মেলা প্রাঙ্গণ এখন জমজমাট। ছোটদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে ঘরকন্নার সামগ্রী— সব মিলিয়ে বিকিকিনির আসরও বসেছে পুরোদমে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা সাত দিন চলবে এই মেলা। বর্ষবরণের রাতে ভিড় সামলাতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সব মিলিয়ে, শীতের আমেজ আর ইতিহাসের পরশ গায়ে মেখে আগামী সাত দিন উৎসবের মেজাজে থাকবে প্রাচীন এই বন্দর নগরী।