বনশ্রী রায় দাস
প্রহেলিকা
সময়ের ভাস্কর্যে খোদাই করা কুয়াশা
অন্ধকারাচ্ছন্ন তরঙ্গের নীরবতা
ভাসে চরাচরব্যাপী ।
এভাবেই হয়তো শেষ হয়ে যায়
একটি সভ্যতা ।
আমার মাতৃভাষার মত…
প্রহেলিকা
সময়ের ভাস্কর্যে খোদাই করা কুয়াশা
অন্ধকারাচ্ছন্ন তরঙ্গের নীরবতা
ভাসে চরাচরব্যাপী ।
এভাবেই হয়তো শেষ হয়ে যায়
একটি সভ্যতা ।
আমার মাতৃভাষার মতো
আমার দেশের শতকোটি মানুষ
এবং তাদের আত্মতুষ্টির মতো।
#
চৌকাঠের অর্গলে অনর্গল বেজে যায়
বিপদ -সাইরেন ।
স্বার্থাণ্বেষী দৃষ্টিপাত কেন্দ্র থেকে বৃত্তাংশ ।
ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে চায় নিয়মকানুন ।
#
সবাই কেমন ঘোরের ভিতর
দিনদিন প্রতিদিন সার্কাসের তাঁবু থেকে
বেরিয়ে আসছে হিংস্র যন্তু ,
ছোবলের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে গলি
থেকে রাজপথ ।
আর শতকোটি মানুষ বোধহীন , গ্যাল্যারিতে বসে
উচ্ছাসে করতালি দিয়ে চলেছি -- - -!
----------------
অক্ষরের ঘর বাঁধি আয়
বনশ্রী রায় দাস
যতই লাল হোক শীতের চোখ
আয় সখা, নিবিড় কেশরঙ মেঘাবৃত তরলে জ্যোৎস্না দিয়ে বসন্ত দেখি ,
পালকবেশে প্রেম আমার উষ্ণতা মাখে
হেঁটে যায় গোপন কৃষ্ণ-কামরায় ।
নাইবা পেলাম কংসাবতীর গোপনচর,
না হোক সুবর্ণ রেখার সঙ্গম লাভ,
মেঘ জন্ম নিয়ে ভাসে তারাবৃক্ষ - - -
বনলতার স্বপ্ন থাক নাটোরেই বিষাদ
মগ্ন আয়নায়।
#
জানলা খোলা নীল নক্ষত্র ,
এই বাড়িয়ে দিলাম ফুলকুমারী মনের জরি,
কাহিনি জড়িয়ে যৌবনের ঘুম হই ভীষণ ।
অরণ্য নদীর খোলামেলা বুকে
শিশুবেলা পায়চারি করে
অক্ষর পথে মুগ্ধ চেতনায় বসতকরি আয়
আগামীর ঘরবাঁধি।