Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পঠনপাঠনের সঙ্গে খেলাকে আবশ্যিক করতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ

‌‌‌
স্কুল ছুট  কমাতে শিক্ষা ও পুষ্ঠির পাশাপাশি শারীরিক কসরতের মাধ্যমে শিশুদের আনন্দ সহকারে মানসিক বিকাশে আগেই পঠনপাঠনের সঙ্গে খেলাকে আবশ্যিক করতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।।  সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে এব…

‌‌‌
স্কুল ছুট  কমাতে শিক্ষা ও পুষ্ঠির পাশাপাশি শারীরিক কসরতের মাধ্যমে শিশুদের আনন্দ সহকারে মানসিক বিকাশে আগেই পঠনপাঠনের সঙ্গে খেলাকে আবশ্যিক করতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।।  সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে এবার জেলায় এসে আঞ্চলিক খেলাকেই বাড়তি গুরুত্ব দিলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে তাই দ্রুত পঠনপাঠনের সঙ্গে আঞ্চলিক সমস্ত খেলা চালুর মাধ্যমে সরকারি এই নির্দেশিকাকে কার্যকর করার লক্ষ্যে বুধবার জেলাশাসকের দপ্তরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানস দাস, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলা স্কুল পরিদর্শক(‌মাধ্যমিক)‌ আমিনুল এহাসান, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা নিতাইচন্দ্র মন্ডল সহ অন্যরা। বৈঠকে যোগ দেন জেলার সমস্ত সার্কেলের ইন্সপেক্টরের পাশাপাশি ডিস্ট্রিক স্পোর্স কাউন্সিলের সদস্যরাও। মানিক ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইল সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স গেজেটের প্রতি ক্রমশই আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে কচিকাচাদের শৈশব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে স্কুলছুটে সংখ্যাও। তাই আমরা মনেকরি স্মার্টফোন গেজেট থেকে দূরে সরিয়ে আনতে শিশুদের আনন্দ দানে পড়াশুনোর পাশাপাশি এই খেলাটা যথেষ্টই প্রাসঙ্গিক। সেই লক্ষ্যেই ২০২০র শিক্ষাবর্ষে খেলাধুলার এই আবশ্যিক ক্লাস জেলায় চালুর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাথমিকের শিশুদের ১১টা থেকে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্কের পরই দুপুর ১টা ১০ থেকে ৪০মিনিট ধরে আবশ্যিক ভাবে খেলাধুলো করানো হবে। সেখানে প্রচলিত ও সাবেকি খেলাধুলা যেমন খোখো, লুকোচুরি, চু কিৎকিৎ, বৌবাসন্তী, মোরগ লড়াই, রুমাল চুরি, বিস্কুট দৌড় সহ আঞ্চলিক খেলাধুলোকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খেলার প্রতি বিশেষ আকর্ষণের জন্য শিক্ষকদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করতে চলেছে রাজ্য শিক্ষ দফতর। আর খেলাধূলো আনন্দের পরই থাকছে মিড ডে মিল পরিবেশন। ফলে এই খেলাধুলোর ফলে শিশুরা যেমন চাপমুক্ত হবে। তেমনি শারীরিক কসরতের ফলে শিশুদের খিদেও বাড়বে। এর মাধ্যমেই শিশুদের আরও মানসিক বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও পড়ুয়াদের স্পোর্টস ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বি আর আম্বেদকর স্পোর্টস একাডেমি ‌গড়ে তোলা হয়েছে। যার মাধ্যমে জেলা স্তরের খেলাধুলার প্রতিযোগিতা থেকে রাজ্য স্তরে সুযোগ পাওয়া স্থানাধিকারী পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে পড়াশুনোর পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আগামীদিনে ছাত্রছাত্রীরা তাদের কেরিয়ারও গড়তে পারবে। তাই আমরা চাই ছাত্ররা আরও বেশি করে স্কুলে আসুক। পুষ্টির পাশাপাশি এই খেলাধুলোর মাধ্যমে তাদের শারীরিক ও চারিত্রিক বিকাশ হোক।