Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার তমলুকে বারুনী মেলায়

মেলা মানে মিলনক্ষেত্র। সব ধর্মের মানুষের মিলন স্থান তারই সাক্ষ্য রইল তমলুকে উত্তরা সংকরারা গঙ্গা পূজা মন্ডপ। এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল এই পূজা কমিটি মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদান। এই কর্মসূচিতে দেখা গেল যুবক থেকে বয়স্করা সকলেই এগিয…


মেলা মানে মিলনক্ষেত্র। সব ধর্মের মানুষের মিলন স্থান তারই সাক্ষ্য রইল তমলুকে উত্তরা সংকরারা গঙ্গা পূজা মন্ডপ। এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল এই পূজা কমিটি মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদান। এই কর্মসূচিতে দেখা গেল যুবক থেকে বয়স্করা সকলেই এগিয়ে এলে এই উদ্যোগে কার্যকরী করতে। দেহ দান এ অঙ্গীকার বদ্ধ হলেন স্বাক্ষর করলেন অঙ্গীকার পত্রে।এক অভিনব ঘটনা সাক্ষী রইল এই পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণ। সকল কুসংস্কারে বাতাবরণ কাটিয়ে বয়স্করা এগিয়ে এলেন দেহ দান করতে। একদিকে সামাজিক পৌরাণিক রীতিনীতি মেনে পুজো অন্যদিকে সেই সংস্কার কাটিয়ে বিজ্ঞানের হাত ধরে এগিয়ে আসছে পুরনো দিনের মানুষরা যারা এতদিন সংস্কার মেনে এসেছে তারা এখন সংস্কারমুক্ত সমাজের কথা ভাবছেন।
। বিজ্ঞান এবং সংস্কারের এক মেলবন্ধন।
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদী মানসিকতার বিকাশ ঘটছে। মৃত্যুর পর মানুষের কল্যাণের জন্য মরদেহ উৎসর্গ করে অন্ধ ব্যক্তি শুধু উপকার নয় জীবন দিতে পারি।
 অঙ্গীকার পত্র স্বাক্ষর করছেন পেশায় শিক্ষক জয়দীপ পন্ডা
..............

মানুষের মৃতদেহ সৎকারের প্রথাগত নিয়মের বাইরে আমরা একে মানুষের কল্যাণে ও পরোপকারী ব্যবহার করতে পারি এটাই হলো মরণোত্তর দেহ দান। মৃতদেহ শুধু শুধু মাটির নিচে পচে যেতে বা দাহ করতে না দিয়ে মানব কল্যাণে ব্যবহার করা যায়।
দেহ দান কারি এক বৃদ্ধার কথা য়, মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বেশ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারি। শিক্ষার্থীরা মরদেহ পেয়ে যেমন প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা পায় তেমনি তাদের মনোবল সাহস বৃদ্ধি সহ অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ সহজ হয়।
আরেক দেহ দানকারী বৃদ্ধ জানালেন, আমার মৃত্যুর পর যদি আমাদের চোখ অন্ধ জনকে দিতে পারি তাতে একজন দৃষ্টিহীন মানুষ পৃথিবীর রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে।

সংস্থার সম্পাদক অপূর্ব মিশ্র জানালেন মানুষের মৃত্যুর 24 ঘণ্টার মধ্যে চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করে তা তৎক্ষণাৎ ফ্রিজিং করলে 72 ঘণ্টার মধ্যে অন্ধ জনের চোখে সমস্ত সংস্থাপন করা যেতে পারে এছাড়া কিডনি লিভার রক্ত এমন কি হৃদপিণ্ড প্যানক্রিয়াস ও অন্যের দেহে স্থাপন করা সম্ভব। তবে এটি বাস্তব যে অনেক সময় মরদেহ দান করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির সদিচ্ছা টিকে কার্যে পরিণত করতে গিয়ে দেখা যায় পরিবার বা আত্মীয় স্বজনের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে মরদেহ যথাস্থানে ও পৌঁছে দেওয়া জটিল সমস্যা হয়ে ওঠে।  একথা ঠিক যে মরণোত্তর দেহদানের জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ও মানসিক দৃঢ়তা ও পারিবারিক সহযোগিতা এই তিনটির কোন একটি ঘাটতি থাকলে আপনার ইচ্ছা ধাক্কা  হয়ে যেতে পারে।