Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ইংরাজি মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি নিয়ে গড়িমশির অভিযোগে অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তপক্ষ

ইংরাজি মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি নিয়ে গড়িমশির অভিযোগে ফের অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তপক্ষ। বৃহস্পতিবার তমলুকের হ্যামিল্টন হাইস্কুলের এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশুনোতে ছাত্রদের অগ্রগতিতে বাধা…


ইংরাজি মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি নিয়ে গড়িমশির অভিযোগে ফের অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তপক্ষ। বৃহস্পতিবার তমলুকের হ্যামিল্টন হাইস্কুলের এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশুনোতে ছাত্রদের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুল কর্তপক্ষই। এমনই অভিযোগে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুল কর্তপক্ষের আশ্বাসে সেই বিক্ষোভ সামাল দেয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮সালে ইংরেজি মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেনি থেকে ভর্তি শুরু হয়। অবিভাবকরাও বেশ উৎসাহের সঙ্গেই ইংরেজি মাধ্যমে শহরের এই নামী স্কুলে তাদের ছেলেদের ভর্তি করেন। কিন্তু মাত্র বছর দুয়েকের ব্যাবধানেই সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ইংরাজি শিক্ষার প্রসারে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরাজি মাধ্যমেও পড়াশুনো চালু করেছিলেন। তাতে আমরা সকলেই খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা যায় বিগত বছর থেকেই স্কুল কর্তপক্ষের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তির বিষয়ে কোন রকমের উৎসাহ নেই। ঠিক কি কারণে এই ছাত্র সংখ্যা কম, কেনই বা স্কুল কর্তপক্ষ ছাত্র ভর্তি বিষয়ে অনিহা দেখাচ্ছে তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নের মুখে পড়েন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এমনই দাবিতে এদিন অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখেও পড়েন প্রধান শিক্ষক।

 নিয়ে স্কুল কর্তপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন অভিভাবকেরা।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রের অভিভাবক সাভানা মণ্ডল বলেন, বহু চেষ্ঠার ফলে আমরা অভিভাবকরা সকলে একত্রিত হয়ে মাত্র ১২জন ছাত্রকে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করতে পেরেছিলাম। তার মধ্যে মাত্র ৯জন ক্লাস করছে। এরপর চলতি বছরে সেই সংখ্যাটা নেমে মাত্র ৪জনে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের স্পষ্টতই অভিযোগ যে, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর বিষয়ে শিক্ষকদের তীব্র অনিহা তৈরি হয়েছে। নানান অভিযোগে তাঁরা বিষয়টিকে এড়াতে চাইছেন। তাই পরিকল্পনা মাফিক এমনটা করছেন। তাই আমরা যতই চেষ্ঠা করিনা কেন শিক্ষকদের কোন সদিচ্ছা নেই। ওনারা ভেতর থেকে ছাত্রদের কানভারি করছেন। অভিভাবকদেরও মিসগাইড করা হচ্ছে। নতুন করে ছাত্র ভর্তির জন্য স্কুলে আসা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের প্ররোচিত করে ইংরেজি মাধ্যমে যাতে ভর্তি না করেন তার জন্য সমস্ত রকমের কৌশল নিয়েছে স্কুল কর্তপক্ষ। স্কুলের শিক্ষকরাই বলছেন যে ইংরাজি মাধ্যমে পড়ানোর জন্য স্কুলের পরিকাঠামোই নেই। ঐতিহ্যবাহী স্কুলে ইংরাজি মাধ্যমে ছাত্রদের পঠনপাঠন বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু মাত্র দু বছর কোন রকম চলার পর স্কুলের কিছু স্বার্থান্নেষি অসৎ মাস্টারমশাই চক্রান্ত করেই ইংরাজি মাধ্যমে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে দিতে চাইছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরেই প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্ত হই। কিন্তু কোন রকমেরই সদুত্বর ওনারা দিতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও একাধিক বার জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও স্কুল কর্তপক্ষের এমন তীব্র অনিহা দেখে তাই বাধ্য হয়েই এদিন এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অভিবাবকেরা ফিরে যান। যদিও এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধুসুদন জানা বলেন, জেলাপ্রশাসনের তৎপরতায় এই স্কুলে ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশুনো চালু করা হয়েও এখনও পর্যন্ত ইংরাজি মাধ্যমে পড়ানোর বিষয়ে উপযুক্ত কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। তাই ছাত্রদের পড়াশুনোর বিষয়ে অনেকটাই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ, তিন বছর কেটে যাওয়ার পরও ইংরাজি মাধ্যমে পড়ানোর বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় বাংলা মাধ্যমের অধিকাংশ শিক্ষকরাও আর ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। সেই কারনেই পরপর ছাত্র সংখ্যাটাও ক্রমশই কমছে। সচেতন অভিভাবকরা তাই এবিষয়ে আগ্রহ আর দেখাচ্ছেন না। 
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে কোন রকমের সুরাহা হয়নি বলে দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।