নিজস্ব প্রতিনিধি,শিলিগুড়ি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল করতে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে উত্তরকন্যায় যান। শুক্রবার মাল…
নিজস্ব প্রতিনিধি,শিলিগুড়ি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল করতে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে উত্তরকন্যায় যান। শুক্রবার মাল্লাগুড়ি মোড় থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত তিনি মিছিল করবেন।
আর সেই মিছিলের আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ। দেড় লাখেরও বেশি মানুষ এই মিছিলে হাঁটবেন এমনটাই আশা তৃণমূল নেতৃত্বের। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী এবং দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বলেন,' যেভাবে সর্বস্তরের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির প্রতিবাদী আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছেন তাতে শুক্রবার শিলিগুড়িতে আমাদের মিছিলে এক থেকে দেড় লক্ষ লোক হবে বলে আমরা আশা করছি।' এদিকে প্রথমে মাল্লাগুরি মোড়ে যে সভামঞ্চ করা হয়েছিল তা সরিয়ে আনা হয়েছে মৈনাক টুরিস্ট লজের কাছে। নিরাপত্তার কারণে পুলিশের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকার পাশাপাশি পাহাড় থেকেও প্রচুর মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সিএএ-র প্রতিবাদে এই মিছিলে হাঁটতে আসছেন। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়িতে সিএএ-র সমর্থনে বিশাল মিছিল করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুক্রবারের মিছিল যে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়ার জন্য নয় তা এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন অরূপবাবু। তিনি বলেন, 'বিজেপি সরকার যেভাবে নোটবন্দী, সিএএ এবং এনআরসি করে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে হয়রান করছে তার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম আন্দোলনে নেমেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদে গোটা দেশকে তিনিই পথ দেখান। তাই শুক্রবারের মিছিল বিজেপিকে টেক্কা দিতে নয়, বিজেপি সরকারের দানবীয় আইন ও অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছেন। পাহাড়ের মানুষ তাদের সংকট মোচনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উপরই ভরসা করছেন। শুক্রবার শিলিগুড়ির মিছিলে পাহাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সেটাই প্রমাণ হয়ে যাবে
বিরোধীরা তৃণমূলের এই মিছিল নিয়ে শহরের যানজট সমস্যা কি বড় করে দেখাতে শুরু করেছে তারা প্রচার করছে এই মিছিলের জন্য শহরবাসীকে নাজেহাল হতে হবে শুক্রবার তাই ভেতরে ভেতরে সকলেই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন এব্যাপারে অরূপ বাবু এক প্রশ্নোত্তরে বলেন,' এত বড় মিছিল যানজট বা কিছু সমস্যা তো হবেই। সেজন্য আমরা মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে যে আইনের জন্য হাজার মানুষের মাথার উপরে ছাদ নড়ে গিয়েছে সেই মানুষদের জন্য এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ একটু কষ্ট হাসিমুখে নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।'