পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তমলুক শহরের ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা শুরু হল আজ। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে স্নান করতে আসে পুণ্যার্থীরা তমলুক শহরের
উত্তর চড়া সংকরারা এলাকায় কপাল মোচন ঘাটে এবং রূপনারায়ণের তীরে। গঙ্গা স্নান এবং গঙ্গা পূজা উপ…
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তমলুক শহরের ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা শুরু হল আজ। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে স্নান করতে আসে পুণ্যার্থীরা তমলুক শহরের
উত্তর চড়া সংকরারা এলাকায় কপাল মোচন ঘাটে এবং রূপনারায়ণের তীরে। গঙ্গা স্নান এবং গঙ্গা পূজা উপলক্ষে বসে মেলা উত্তর চারা সংকরারা শান্তি সংঘ গঙ্গা পূজা প্রাঙ্গণে। পঞ্চাশতম বারুনী মেলা শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বারুনীমেলা পূজো মন্ডপ প্রাঙ্গণে। এই দিন সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ট্যাবলো সাজিয়ে পৌরাণিক ইতিহাস মনে রেখে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দেখা গেল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন হয় ।উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার প্রীতিশ নন্দী, স্নিগ্ধ মির্শ্র, অধ্যাপক
আশুতোষ দাস, অধ্যক্ষ অনাথ বন্ধু পাত্র ,সমাজসেবক বৈদ্যনাথ সিনহা, প্রাক্তন শিক্ষক নিমাই চরণ মিত্র, সমাজসেবী, শিশির কুমার হাজরা, প্রধান শিক্ষক গোষ্ঠ বিহারী শাহু সহ সংস্থা পরিচালক বৃন্দ।
বিজ্ঞান ও সংস্কারের মেলবন্ধন এই বারুণী মেলা । মেলা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানে আয়োজন হয়েছে এই উত্তরা সংকর আরা শান্তি সঙ্গে বারুনীমেলা প্রঙ্গনএ।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে আছে সামাজিক সমাজ সেবা মূলক কর্মসূচি। প্লাস্টিক দূষণ জলের অপচয় এবং চক্ষু ও দেহদানের মত সমাজ সেবা মুলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । সংস্থা পক্ষ থেকে বালুচর নামে একটি পত্রিকার উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন। পত্রিকাটির সম্পাদক জয়দীপ পন্ডা জানান," বারুনী মেলা উপলক্ষে উত্তরা শংকর আরা গঙ্গা মেলা কমিটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির সঙ্গে সাহিত্য কে ও তুলে ধরেছে বালুচর পত্রিকা প্রকাশ করে। এই মেলা যেমন মানুষের মেলা তেমনি শিল্প সাহিত্য সমাজ উন্নয়নের ও মেলা।"
সংস্থার সম্পাদক তথা তমলুক হ্যামিলটন হাই স্কুলের শিক্ষক অপূর্ব মিশ্র বলেন তমলুকের ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলাতে পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও অন্যান্য অনেক জেলা থেকে দর্শনার্থী আছে নদীতে স্নান করে পূর্ণ অর্জন করে এবং গঙ্গা মায়ের পুজো দেয়। মানুষকে সচেতন করতে সমাজসেবামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মরণোত্তর দেহদান চক্ষুদান এই সম্পর্কে প্রচার এবং মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী দিনে মানুষ আরো সচেতন হয়ে এগিয়ে আসবে ।মেলাতে আসা পুণ্যার্থীরা সাগ্রহে তাদের নাম নথি মুক্ত করে যায় আ।উৎসাহিত হই ।গত কয়েক বছরে অনেকেই তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে এই সংস্থায়।"
মেলা সম্পাদক সৌমেন গজেন্দ্র মহাপাত্র জানান "এই মেলা চলবে সাত দিনব্যাপী ।১৪ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পূণ্যার্থীদের কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় পৌরসভা থেকেও সাহায্যের করা হয়েছে। সিভিক পুলিশ এবং জলের ও ব্যবস্থা রয়েছে"।