টোটেমিক কুড়মি সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ালেন অধীর

এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন ও অবস্থান আজকের নয় বলা যায় কয়েক দশকের। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা । কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর পার্লামেন্টে কুড়মিদের এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত …

এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন ও অবস্থান আজকের নয় বলা যায় কয়েক দশকের। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা । কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর পার্লামেন্টে কুড়মিদের এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন আগেই,আজ ঝাড়গ্রামে তার প্রকাশ্য সমাবেশে সেই একই সুর ঝলকে উঠল আবার। এর ফলে জঙ্গলমহল তথা আপামর কুড়মি সম্প্রদায়ের মনের কোনে আশার আলো দেখাতে অনেকটাই সফল মাননীয় সাংসদ তথা প্রধান বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের ডিএম হলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী কে পার্লামেন্টে কুড়মিদের দাবি জানানোর জন্য সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন "কুড়মি সমাজ" । জঙ্গলমহলের বিশিষ্ট ঝুমুর শিল্পী বিজয় মাহাতো এবং জঙ্গলমহলে ক্রমাগত হাতির হানায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করেন অধীর চৌধুরী । সংবর্ধনা সভা মঞ্চে অধীর বাবুকে মকর পরব উপলক্ষ্যে পিঠে খাওয়ান কুড়মী সমাজের সদস্যরা । মঞ্চে বক্তব্য রাখা কালীন অধীর রঞ্জন চৌধুরী কুড়মালি ভাষায় লেখা কবিতা পাঠ করেন । এই সংবর্ধনা সভায় অধীর চৌধুরী বলেন , সারাদেশেই  অনুপ্রবেশকারী বলে আলোচনা হচ্ছে, কথা হচ্ছে । কিন্তু আমি মনে করি এখানকার আদিবাসী মানুষ ছাড়া ভারতে যারা আছে তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী । আমরা বাইরে থেকে এসে আপনাদের জমি দখল করেছি ঘর দখল করেছি সম্পদ দখল করেছি এবং আপনাদের জঙ্গল ছেড়ে দিয়েছি যেখানে হাতি বাঘের সঙ্গে প্রতিনিয়তই লড়াই হচ্ছে আপনাদের এই জল জঙ্গল জমিন সব আপনাদের ।
           পার্লামেন্টে কুড়মিদের এসটি করার বিষয়টি নিয়ে অধীর বাবু বলেন, আমি পার্লামেন্টে এই বিষয়টি তুলে ধরেছি তার মানে এটি লিপিবদ্ধ হয়েছে । আমি যখন পার্লামেন্টে বলি তখন আমার ঠিক পাশেই সোনিয়া গান্ধী বসেছিলেন তিনি জানতে চেয়েছিলেন এই বিষয়টি কি ।তখনই আমি জানিয়ে ছিলাম বাঁকুড়া পুরুলিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রাম,ঝাড়খন্ড এবং  উড়িষ্যা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় কয়েক লক্ষ কুড়মি মানুষের বাস রয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরেই নানান কর্মসূচির মাধ্যমে বারবার সিডিউল ট্রাইবের  দাবী সোচ্চার হয়েছে এরা।
          একসময় সোনিয়া গান্ধী আমাকে বলেছিলেন বিহারের নিতিশ কুমারও তো কুড়মি । আমি বলেছিলাম ওরা হচ্ছে ওবিসি এবং কিন্তু এখানকার কুড়মিরা সিডিউল ট্রাইব,টোটেমিক কুড়মি, আর তারা সেটারই অধিকার চাইছেন।
             এই মঞ্চেই পিঠা খেয়ে  সেই প্রসঙ্গে প্রশংসার সুর টেনে অধীর বলেন, এই মকরসংক্রান্তি এলেই পিঠের কথা মনে আসে কিন্তু এবছর পিঠে খাওয়া হয়েছিল না। কিন্তু ঝাড়গ্রাম এসে এই মা, বোনদের হাতে পিঠে পেয়েছি ।তাও আবার যেমন তেমন পিঠে নয় গরম গরম পিঠে খেয়েছি ফলে আপনাদের হয়ে কাজ করার তাগিদ আমাকে আরও বেশি করে উজ্জীবিত করে তুলছে।