হৃদয়ের বন্ধন
লেখক--বাদল বড়ুয়া
বাংলা দেশ
১০/০৩/২০২০ইং।
হৃদয়ের বন্ধন হোক সকলেই আপন,
কাউকে দেখি নাই তার মতো আপন।
শুধু রক্তে নয়,
মানবতা বন্ধনই প্রকৃত আপন;
যা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বন্ধন।
প্রেমপ্রীতি আর ভালো…
হৃদয়ের বন্ধন
লেখক--বাদল বড়ুয়া
বাংলা দেশ
১০/০৩/২০২০ইং।
হৃদয়ের বন্ধন হোক সকলেই আপন,
কাউকে দেখি নাই তার মতো আপন।
শুধু রক্তে নয়,
মানবতা বন্ধনই প্রকৃত আপন;
যা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বন্ধন।
প্রেমপ্রীতি আর ভালোবাসা,
তার মধ্যে অন্যরকম।
মানুষের আসল সম্পর্ক,
মানবতার বন্ধন।
যার নেই মানবতা,
তার নেই মনুষ্যত্ব;
সে এই জগতে অতি নগণ্য,
মানব রুপে সে কলঙ্কিত।
তাই হৃদয়ের বন্ধন হোক,
মানুষের অনন্য ভালোবাসা;
স্বার্থের কারণে রক্ত হয় দুষমন,
হৃদয়ের বন্ধনে পর হয় আপন।
মানুষের ভিতরে জেগে উঠুক,
সবার হৃদয়ের বন্ধন।
.......
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে
লেখক -- বাদল বড়ুয়া
১৯/০১/২০২০ইং।
জম্ম যার গ্রামে,
কখনও সে ভুলতে
পারবেনা গ্রামকে।
তাই সবুজে শ্যামলে ঘেরা,
গ্রাম বাংলা সবুজ সমারোহে ভরা।
শহর থেকে গ্রামে গেলে,
অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে
অনেক বেশি।
ভুলা যাই না অতীত স্মৃতি,
উঁকি মারে গ্রামের স্মৃতি।
শীতের সকালে রৌদ্র তাপে,
বসে বসে রাস্তা ঘাটে,
নানানরকম গল্প চলে;
আরো চলে পিঠার ধুম।
কি যে আনন্দ লাগে,
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালের ঘুম!
উঠিলাম ঘুম থেকে,
জ্বালাইলাম আগুনে ধুনি;
বসে বসে সবাই করে,
গল্প গুজব সবে মিলে।
আগুনের তাপে শীত চলে
যায় অনেক দূরে।
কি যে আনন্দ লাগে,
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে!
পাখিরা করে কিচিমিচি,
ছোট ছেলে মেয়েরা করে,
দৌঁড়া দৌঁড়ি।
গায়ে আসে গরম তাপ ,
চলে ছোট ছোট ছেলেদের
কুস্তি;
এইভাবে গ্রামের জীবন চলে,
আনন্দ ভরি।
সকালে রাখাল গরুর পাল,
লয়ে যায় মাঠে।
কৃষকেরা নাঙ্গল জোয়াল,
নিয়ে ছুটে যায় বিলে।
কিশোর কিশোরীরা,
খেলা করে খোলা মাঠে;
আনন্দে দিন কেটে যায়,
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে।
মনের আনন্দে রাখাল বাজায় বাঁশী,
গরু লয়ে মাঠে।
সুরের মোহনায় ছুটে আসে,
লাল পরী নীল পরী রাখালে
পাশে।
সুরের তালে তালে নাচতে
থাকে গরুর মাঠে।
গ্রাম বাংলার জীবন চলে
এইভাবে,
কি যে আনন্দ লাগে,
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে!
শীতের মৌসুমে,
গ্রাম বাংলায় অনেক রকমের;
মেলা বসে খোলা মাঠে।
তার মধ্যে সূর্য বধ মেলা,
বড় মেলা লোকে বলে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা,
ছুটে চলে মেলাতে;
আনন্দের সীমা থাকেনা
তাদের মাঝে।
কিশোর কিশোরীরাও,
ছুটে যায় সেই মেলাতে।
নানানরকমের প্রসাদনী সামগ্রী,
আর খেলনা দোকান বসে
সেখানে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়ে,
আর নানান বয়সের কিশোর
কিশোরীরা;
ঘুরে ফিরে মেলাতে।
কত হৈ উল্লাস চলে মেলাতে!
কি যে আনন্দ লাগে,
গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে!
........
কবিতাঃ
অমানবিক জীবন।
লেখক- বাদল বড়ুয়া।
১২/০১/২০২০ইং।
জীবদের মধ্যের মানুষ শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী,
কিছু অমানবিক কাজের ফলে ;
আমরা হয়ে যায়,
পশুর চেয়ে ও অধম জানি।
মানবতা আমাদের কাছে,
হয়ে যাই এক অচেনা জীব।
কারণ স্বার্থের কাছে আপন হয় পর,
পর হয় আপন।
এই কি আমাদের মানব জীবন!
মানবতা কাছে কুসন্তান,
তুচ্ছ আর ঘৃণিত।
এমন কি সমাজ আর দেশের কাছেও,
সেই কথা চিন্তা করে না;
কখনো তাদের জীবনে।
প্রতিটা ধর্মে বলা আছে,
মা বাবার সেবা করা উত্তম।
কিন্তু সেই কথা আমরা কয়জন মানি,
কয়জনের আছে সেই দায়িত্ববোধটি।
তাই অনেক মা বাবাকে,
মরতে হয় উপবাসে আর রোগে শোকে;
কুসন্তান জম্ম দেওয়ার ফলে।
হাইরে সন্তান,
যেই সন্তান স্বার্থের টানে ;
মা বাবাকে দূরে ঠেলে দেয়,
তাদের জীবন যাবে কেমন!
এক বারও ভেবে দেখেছে কি?
তাদের জীবনে কথা।
মা বাবাকে কষ্ট দেওয়ার প্রতিদানে,
তাদেরও আশ্রয়স্হল হবে
বৃদ্ধ আশ্রম বা রাস্তাঘাটে।
ভাবতে অবাক লাগে,
কুসন্তানের কাছে যেন;
মা-বাবার না হয় মরণ।
যার কারণে মা-বাবাকে,
করতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি;
নতুবা পরের ঘরের বুয়া
অথবা বৃদ্ধ বয়সে কারো
পরিবারের বাজার আনা।
এটা হলো কুসন্তান থেকে
পাওয়া একটা বড় উপহার।
আমাদের এটাই মনে রাখতে হবে,
" যেমন কর্ম, তেমন ফল।"
তোমাদের জীবনেও হবে এমন,
সময় উপেক্ষা করতেছে;
কুসন্তানদের জন্য সেই জীবন।
তখন মা বাবাকে ডাকবি যখন,
তাদেরকে পাবে না আর তখন;
তোমরাও মা বাবাকে করেছো যেমন;
তোমাদের কর্মফল ভোগ করতে হবে এমন,
এইতো আমাদের মানব জীবন।
আজ মানবতার কাছে,
হারতে হচ্ছে বৃদ্ধ জীবন।
এমন কুসন্তানের কাছে,
মা বাবার না হয় যেন মরণ।
এইরকম কোনো মা বাবার,
না হয় যেন এমন জীবন।
........
কবিতাঃ
অমানবিক জীবন।
লেখক- বাদল বড়ুয়া।
১২/০১/২০২০ইং।
জীবদের মধ্যের মানুষ শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী,
কিছু অমানবিক কাজের ফলে ;
আমরা হয়ে যায়,
পশুর চেয়ে ও অধম জানি।
মানবতা আমাদের কাছে,
হয়ে যাই এক অচেনা জীব।
কারণ স্বার্থের কাছে আপন হয় পর,
পর হয় আপন।
এই কি আমাদের মানব জীবন!
মানবতা কাছে কুসন্তান,
তুচ্ছ আর ঘৃণিত।
এমন কি সমাজ আর দেশের কাছেও,
সেই কথা চিন্তা করে না;
কখনো তাদের জীবনে।
প্রতিটা ধর্মে বলা আছে,
মা বাবার সেবা করা উত্তম।
কিন্তু সেই কথা আমরা কয়জন মানি,
কয়জনের আছে সেই দায়িত্ববোধটি।
তাই অনেক মা বাবাকে,
মরতে হয় উপবাসে আর রোগে শোকে;
কুসন্তান জম্ম দেওয়ার ফলে।
হাইরে সন্তান,
যেই সন্তান স্বার্থের টানে ;
মা বাবাকে দূরে ঠেলে দেয়,
তাদের জীবন যাবে কেমন!
এক বারও ভেবে দেখেছে কি?
তাদের জীবনে কথা।
মা বাবাকে কষ্ট দেওয়ার প্রতিদানে,
তাদেরও আশ্রয়স্হল হবে
বৃদ্ধ আশ্রম বা রাস্তাঘাটে।
ভাবতে অবাক লাগে,
কুসন্তানের কাছে যেন;
মা-বাবার না হয় মরণ।
যার কারণে মা-বাবাকে,
করতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি;
নতুবা পরের ঘরের বুয়া
অথবা বৃদ্ধ বয়সে কারো
পরিবারের বাজার আনা।
এটা হলো কুসন্তান থেকে
পাওয়া একটা বড় উপহার।
আমাদের এটাই মনে রাখতে হবে,
" যেমন কর্ম, তেমন ফল।"
তোমাদের জীবনেও হবে এমন,
সময় উপেক্ষা করতেছে;
কুসন্তানদের জন্য সেই জীবন।
তখন মা বাবাকে ডাকবি যখন,
তাদেরকে পাবে না আর তখন;
তোমরাও মা বাবাকে করেছো যেমন;
তোমাদের কর্মফল ভোগ করতে হবে এমন,
এইতো আমাদের মানব জীবন।
আজ মানবতার কাছে,
হারতে হচ্ছে বৃদ্ধ জীবন।
এমন কুসন্তানের কাছে,
মা বাবার না হয় যেন মরণ।
এইরকম কোনো মা বাবার,
না হয় যেন এমন জীবন।