প্রায় এক মাসের ব্যাবধানে ফের হলদিয়া শহরে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। শনিবার রাতে দূর্গাচক থানা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার বছর তেইসের যুবক সুজয় সাঁতরার বস্তাবন্দি দেহ। শুক্রবার রাত্রি থেকে খোঁজ মিলছিল না সুজয়ের।
পরিবারের…
প্রায় এক মাসের ব্যাবধানে ফের হলদিয়া শহরে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। শনিবার রাতে দূর্গাচক থানা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার বছর তেইসের যুবক সুজয় সাঁতরার বস্তাবন্দি দেহ। শুক্রবার রাত্রি থেকে খোঁজ মিলছিল না সুজয়ের।
পরিবারের তরফে দূর্গাচক থানায় যোগাযোগ করা হয়, তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মনোরঞ্জন দাস নামে এক জনের সংগে সুজয়ের বন্ধুত্ত ছিল। মনোরঞ্জনের একটি ছোটখাটো রেষ্টুরেন্ট ছিল। সেখানেই বেশিরভাগ সময় থাকতো সুজয়। এমনকি মনোরঞ্জনের দোকানের কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ আটক করে জেরা করে জানতে পারে শুক্রবার অনেকরাত অবধি সুজয় মনোরঞ্জনের কাছেই ছিল এবং সুজয়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশও তাই ছিল। এরপর মনোরঞ্জন যে বাড়িতে থাকতো সেই বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে রাতে সুজয়ের রক্তাক্ত বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। তবে কি কারনে খুন হতে হলো সুজয়কে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সুজয়ের এক বন্ধুর দাবি, কয়েকমাস আগে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে সুজয় একটি বাইক কেনে। তবে সেই বাইকের ডাউনপেমেন্ট করেছিল ও ই এম আই দিত মনোরঞ্জন। সেই নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে থেকে ঝামেলা চলছিল সুজয় ও মনোরঞ্জনের মদ্ধ্যে। সেই জন্য সুজয়কে খুন হতে হয় বলে অনুমান বন্ধুদের।
গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি এই হলদিয়ার দূর্গাচকের ঝিকুরখালি থেকে উদ্ধার হয় মা মেয়ে দগ্ধ দেহ। তারপর শনিবারের এই ঘটনায় আতংকিত শিল্পশহরের বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, পুকিশ প্রশাসন যদি আর একটু সজাগ হয়, তাহলে হয়তো এই প্রবনতা কমবে।