সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ০৫
গল্প - বিদায়
প্রদীপ কুণ্ডু
১২-০৪-২০২০
-----------------------------------------
প্রতিদিনের মত সেদিনটা ছিল সাধারণ দিনগুলোর মতই। বৃষ্টি কাজ সেরে কলেজে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল।
হঠাৎ একটা ফোন এলো…
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব ০৫
গল্প - বিদায়
প্রদীপ কুণ্ডু
১২-০৪-২০২০
-----------------------------------------
প্রতিদিনের মত সেদিনটা ছিল সাধারণ দিনগুলোর মতই। বৃষ্টি কাজ সেরে কলেজে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল।
হঠাৎ একটা ফোন এলো বৃষ্টির কাছে। বৃষ্টি তুমি এখনি আমার সাথে দেখা করতে পারবে?
বৃষ্টি জিজ্ঞাসা করলো কেনো?
অখিলেশ কিছু বলার আগেই বললো আচ্ছা কলেজ থেকে ফেরার পথে যে পার্কটায় দেখা হয় ওখানেই এসো বিকাল পাঁচটায়। আমার আজ প্র্যাক্টিক্যাল আছে এখন পারবো না। অখিলেশ বললো ঠিক আছে আসবো।
সময় মতো বৃষ্টি কলেজ শেষে এসে দাড়িয়ে রইলো কিন্তু অখিলেশ এলো না শুধু একজন হটাৎ এসে তাকে একটা ছোট্ট খামে মোড়া চিঠি দিয়ে গেলো। চিঠিটা খুলে বৃষ্টি দেখলো একটা শব্দে লেখা বিদায়। কিছু বুজতে পারলো না সে তাই সে অখিলেশকে ফোন করলো জানতে পারলো অখিলেশ সকালে মারা গেছে একটা গাড়ি দুর্ঘটনায়। তাহলে তার কাছে চিঠিটা পাঠালো কে? ফোনটাই বা করলো কে?
এক জায়গায় বসে চিন্তা করছিল বৃষ্টি। নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালো বেসেছিলো অখিলেশক। বাবা মা না থাকা বৃষ্টির পড়াশোনার দায়িত্ব থেকে আগের মাসের ফোন কিনে দেওয়া সবটাই তো অখিলেশ করেছে। কিন্তু আজ কেনো তাকে ছেড়ে চলে গেলো।একদিন তো সেই তাকে তুলে এনেছিল রাস্তার ধার থেকে । বাবা মা মারা যাওয়ার পর যখন ঘরটাও প্রোমোটার নিয়ে নিয়েছিল। রমেন দের বাড়ির কাজটাও সেই দেখে দিয়েছিল।তারপর পড়ার ব্যাবস্থা। তাহলে আজ কেনো?...
হটাৎ,
দূরে তাকিয়ে দেখলো অখিলেশ আর বৃষ্টি হেঁটে যাচ্ছে পার্কের সেই নির্জন পথ ধরে। প্রতিদিন বিকালে যেমন তারা হাঁটে।
না!
বৃষ্টি ও আজ আর নেই অখিলেশকে হারানোর যন্ত্রণাটা তার আর সহ্য হয়নি তাই সেও চিরতরে বিদায় জানিয়েছে অখিলেশ এর হাত ধরে।