Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আলোক রেখার গল্প অভিমান

******অভিমান *****
-----------------------------------------
              আলোকরেখা
--------------------------------------------
     অবশেষে আমাদের ডেবিউ সিনেমা সুপারহিট।প্রশংসা আর শুভেচ্ছার স্রোতে ভাসছি তবু চারজনেরই মন খারাপ কা…


******অভিমান *****
-----------------------------------------
              আলোকরেখা
--------------------------------------------
     অবশেষে আমাদের ডেবিউ সিনেমা সুপারহিট।প্রশংসা আর শুভেচ্ছার স্রোতে ভাসছি তবু চারজনেরই মন খারাপ কারণ আংকেলের প্রিয় বন্ধু- অভিনেত্রীর সিনে-জগৎ থেকে হঠাৎ অবসর নেওয়ার জন্য আংকেল  সৃঞ্জয় কে দায়ী করেছেন তাই ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করেছেন।যদিও তাঁর ধারণা ঠিক তবু এর পেছনে অন্য গল্প আছে সেটা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
   ব্যাপারটা হলো  আমাদের চারজনেরই  একটাই স্বপ্ন, সত্যজিত রায়,ঋত্বিক ঘটক প্রমুখদের অনুসরণ করে ভালো ভালো সিনেমা বানানো।সেইমতো প্রথম সিনেমা তৈরিতে অনেকটা এগিয়েছি কিন্তু দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন।প্রথমজন রণদীপ আংকেল-‘সেন ক্রিয়েশন’এর প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক আর দ্বিতীয়জন মা’র সময়ের নম্বর ওয়ান অভিনেত্রী ইশিতা চৌধুরি,যিনি এখনও নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন এবং অযাচিত ভাবে আমাদের স্বপ্নেও ঢুকে পড়েছেন।আসলে চিত্রনাট্যের দাবি অনুযায়ী এ ছবির নায়িকা তরুণী,কালো এবং অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী।তো এমন এক দক্ষ অভিনেত্রীকে যখন হন্যে হয়ে খুঁজছি তখন আংকেল জানালেন ওই চরিত্রের জন্য তিনি ইশিতা ম্যাডাম কে সাইন করিয়েছেন।ব্যাস ওখানেই সব ইতি,ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই যেন ধ্বংসের মুখ দেখলো নবজাতক।
 বেশ কয়েকদিন কেউ কারও সাথে যোগাযোগ করলাম না।তবে পরে যে চমক পেলাম সৃঞ্জয়ের থেকে তারজন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
  সেদিন একটা চিত্রনাট্য পড়তে দিয়েছিল সৃঞ্জয় যার সাথে আমাদের আদর্শ বা প্রথম গল্পের সামান্যতম মিল নেই।কিছু প্রশ্ন করার পূর্বে সৃঞ্জয়ের উত্তর ছিল,তোরা রাজি থাকলে পাপা আর ইশিতা আণ্টি কে আমি একটা মেসেজ দিতে চাই।
  কাহিনীটি একটু শুনুন তাহলে বুঝবেন কেন আমরা রাজি হয়েছিলাম।
গল্প টি এক গুরু-শিষ্যার মান-অভিমানের লড়াই নিয়ে।যেখানে একসময় নৃত্যশিক্ষিকা বুঝেছিলেন চেয়ার আঁকড়ে ধরে জীবনের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় কিন্তু মাপকাঠি বোঝাতে গেলে যোগ্য ব্যক্তি কে নিজের চেয়ার এগিয়ে দিতে হবে।শেষ পর্যন্ত গুরু শিষ্যাকে নিজের স্বপ্নের জায়গাটিতে অভিষিক্ত করবেন।মধুরেণ সমাপয়েৎ।
পারিবারিক সম্পর্কের জেরে ইশিতা ম্যাডাম কে সাইন করাতে কোন অসুবিধে হয় নি।
 বলা হয় যে সব ভালো যার শেষ ভালো,আমাদের বেলায় তাই হোল,এখন একটাই কাজ বাবা-ছেলের অভিমান দুর করা।
 আপনারাই বলুন সৃঞ্জয় কি ভুল করেছে?একজন মানুষ নেশায় দৌড়চ্ছিল যে কোনো মুহূর্তে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে পারতো,তাকে সসম্মানে থামিয়ে দিয়েছে।জানেন তো গত দুবছরে ওইরকম অভিনেত্রীর একটাও হিট ছবি নেই।এই ভালো হোল,মানুষের মনে চিরকাল তাঁর সাফল্যের ছবি আঁকা হয়ে থাকবে।তাছাড়া কবি গুরুর সেই বিখ্যাত গান টি ভুললে চলবে কেন,জীর্ণ যা কিছু যাহা কিছু ক্ষীণ,নবীনের মাঝে হোক তা বিলীন।অতএব আংকেলও সেন ক্রিয়েশন এর যোগ্য উত্তরসূরির উপরে কতদিন আর রাগ করে থাকবেন,হয় তো পরের ছবির দায়িত্ব আমাদের চার নিউকামার কেই দেবেন।তবে সে যাই হোক এবার আর আদর্শের সাথে কম্প্রোমাইজ করে নয়।