ওঠা-নামা
প্রদীপ সেন
আগরতলা, ২৮/০৬/২০
ঘুড়িটা একসময়ে মাটিতেই ছিল।
বাতাসের দৌলতে উপরে ওঠা।
নাটাইয়ের সাথে সুতো দিয়ে বাঁধা
তাই তার বাতাসের বুকে ভেসে থাকা।
এ উচ্চতা ঘুড়ির নিজস্ব দক্ষতায় নয়।
অথচ উচ্চতা-পাওয়া ঘুড়িটা আ…
ওঠা-নামা
প্রদীপ সেন
আগরতলা, ২৮/০৬/২০
ঘুড়িটা একসময়ে মাটিতেই ছিল।
বাতাসের দৌলতে উপরে ওঠা।
নাটাইয়ের সাথে সুতো দিয়ে বাঁধা
তাই তার বাতাসের বুকে ভেসে থাকা।
এ উচ্চতা ঘুড়ির নিজস্ব দক্ষতায় নয়।
অথচ উচ্চতা-পাওয়া ঘুড়িটা আত্মশ্লাঘায় ভোগে।
মনে হয় যেখান থেকে তার উত্থান
সেই মাটিটা অনেক অনেক নীচুতে।
যারা তার সৃষ্টিকর্তা, যারা নাটাইটা ধরে আছে
সব কেমন ক্ষুদ্র, তুচ্ছ ও নগণ্য।
পতনের শুরুটা এখানেই লেখা হয়ে যায়।
ঘুড়িটা ভুলেই গেছে সুতো আর বাতাসের ঋণ।
বাতাস উধাও হলে, সুতোটা ছিঁড়ে গেলে
ঘুড়িটা যে মুখ থুবড়ে মাটিতেই নেমে আসবে
অহংকারে সে হুঁশটুকু হারিয়ে বসে আছে।
বহুদর্শী কম তো দ্যাখিনি মুক্ত চোখে
কত ঘুড়ি উঠলো আর সুতো-কাটা হয়ে
মুখ থুবড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেলো।