"চলন্তিকা " গদ্য কবিতা
প্রবীর কুমার চৌধুরী
কংক্রিটের জঙ্গলে -
এখন হাঁসফাঁস প্রান ,নিশ্বাসে দুর্গন্ধ ,
দুই ফুসফুস এখন বিষাক্ত পোকার দখলে ।
বন্ধ ডানায় স্তব্দ পাখিদের কান্না,
নীলাকাশ ঢেকে গেছে প্রতারণার কালো মেঘে ,
ইঁটের…
"চলন্তিকা " গদ্য কবিতা
প্রবীর কুমার চৌধুরী
কংক্রিটের জঙ্গলে -
এখন হাঁসফাঁস প্রান ,নিশ্বাসে দুর্গন্ধ ,
দুই ফুসফুস এখন বিষাক্ত পোকার দখলে ।
বন্ধ ডানায় স্তব্দ পাখিদের কান্না,
নীলাকাশ ঢেকে গেছে প্রতারণার কালো মেঘে ,
ইঁটের পাঁজরে থমকে গেছে স্বপ্ন দেখার স্বাদ।
এখন ঘুমের বড়িতেও ঘুম নেই -
অশান্ত প্রহর ,নিঃসঙ্গতা খেলা করে প্রেমে,
ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বয়ে মৃত্যুচাই অষ্টপ্রহর ।
দূষিত পিতৃত্ব ,অভিশাপ ঘিরে ধরে -
লোভের পারদে অসহ্য তাপমাপা ,দুঃসহ কামনায় হাত ধরে।
বিস্মৃত হিতাহিত জ্ঞান,কাকচক্ষু জলের সামনে বন্দিজীবন।
বরফ রক্তের আঠার মধ্যে -
থেমে গেছে প্রানের সূর্যোদয় ।
গোধূলির আলো আর চাই নাতো,অধরা স্বপ্ন ক্ষত-বিক্ষত।
সুনিপুণ হাতে বুনেছ ছলাকলার কারুকার্য ,
বাতাসে ভাসে বেসুরো গান ,বেলাশেষে -
ব্যঞ্জর তালে তালে নাচছে কুষ্ঠরোগী ।
পর্দার আড়ালে শোনা যায় নির্মম হাসি ,
নীলআলোয় খেলা করে প্রহসন,পৃথিবী জুড়েই হবে ভূমিকম্প।
রক্তমাখা বাঘনখের আতঙ্কে ছুটছি প্রানপন।
কেন আত্মসুখের মিছিলে পা মেলাই -
সম্পর্ক দুইপায়ে দলে দলে ?
ভালোবাসার দেওয়ালে ফাটল দেখেও স্বার্থরা হাসে মহাসুখে।
সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।